কথিত আছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বর্গীয় দস্যুদের আক্রমণের হাত থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করবার জন্য শিবনিবাসে রাজত্ব স্থাপন করেন। সেই সময় হরিতলার জনৈক বাবু রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নায়েব বলে পরিচিত ছিলেন। নায়েবের অনুরোধে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র দুর্গাপূজার অনুমতি দেন। ইতিহাস থেকে আরও জানা যায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই পূজার সূচনাও করেন।
আরও পড়ুন: জলঘড়ি মেনে সন্ধিপুজো, ৫ গ্রামে রিলে সিস্টেমে পৌঁছয় সন্ধির ডাক, গায়ে কাঁটা দেওয়া পুজোর ইতিহাস...
advertisement
রাজার এই বাণী প্রতিটা ঘরে মহালয়ার মতো আজও বাজে। ১৮৯০ সালে এলাকার মহিলারা নিজের হাতে এই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে পূজার সূচনা করেন। সেই থেকে নদিয়ার হাসখালি হরিতলার পূজা মহিলা পরিচালিত পূজা হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। এলাকায় গেলে দেখা যায় মহিলারা মণ্ডপে রং করছেন, সবচেয়ে অবাক হবার বিষয় মহিলারাই নিজ হাতে করে দুর্গা প্রতিমা বানাচ্ছেন, এবং নতুন মেয়েদেরকেও সেই কাজ শেখাচ্ছেন যাতে করে পরবর্তীতে তারা এসে এই কর্তব্য পালন করতে পারে।
এত কিছু সত্ত্বেও মহিলাদের মাঝে আক্ষেপের সুর শোনা যায়। কারণ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন সমস্ত পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, তখন এখানে পুজো কমিটি সেই অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের দাবি, যদি কোন একজন স্বহৃদয় ব্যক্তি একটু সদয় দৃষ্টি দিতেন তাহলে আমাদের মহিলারদের এই পূজা করতে সুবিধা হত এবং পূজার আরও জাকজমকপূর্ণ হতো। তাদের এই আবেদন সরকারের কান পর্যন্ত পৌছাবে কিনা। তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন গোটা হরিতলাবাসী।