পান পাতা হজম শক্তি বাড়ায়। সাধারণত খাওয়ার পর পান খাওয়া হয় এটার কারণ হজম করতে সাহায্য করে পান। পাশাপাশি গ্যাস অম্বল কমায়। বাড়াতে পান দারুণ কার্যকর। পান পাতার রস পেটের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পেটে বায়ু জমে না। ফলে মানব শরীরে খিদে বাড়ে।
আরও পড়ুনঃ একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? হাঁটতে অসুবিধা? হার্টের বড় অসুখ বাসা বাঁধল! চিকিৎসকদের পরামর্শ জানুন
advertisement
পান পাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। যার ফলে ক্ষতস্থানে পান পাতা দিলে দ্রুত ক্ষত নিরাময় হয়। ফলে পান পাতা ব্যবহারে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ঠান্ডা লাগা বা গলা ইনফেকশন, গলা খুসখুসের মতো সমস্যাতে পান দারুণ কার্যকরী।
*গলা খুসখুসের মতো সমস্যাতে পাঁচ মিলিলিটার রস সামান্য উষ্ণ গরম জলে দিয়ে পান করলে উপশম পাওয়া যায়।
*মাউথফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে পান। পান পাতার রস দাঁত ও মাড়ির পক্ষে উপকারী। পান পাতায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুনঃ নিত্য মানসিক চাপ! এখনই সাবধান না হলে ভুগতে হতে পারে বড় অসুখে
*ত্বকের ক্ষেত্রে পান ভীষণ কার্যকরী। অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি, দাদ বা আঁচিল হলে সেই স্থানে কয়েক দিন পান পাতার রস লাগালে ধীরে ধীরে সেই আঁচিল মিশে যায়।
*পান ডায়াবেটিস নি়য়ন্ত্রণে কাজ করে। পান পাতার মধ্যে ডায়াবেটিস প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পান পাতা দারুন কার্যকরী।
*একটি পান পাতা ছোট ছোট কুচি করে রাত্রে এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রেখে। সকালে পান পাতা থেকে ওই জল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
*সকালে পান পাতা নিচে রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
গাছের ব্যবহার আমাদের দেশে অজানা নয়। তেমনই পান পাতা অ্যান্টিসেপটিক হিসাবেও কাজ করে। শরীরের কোনও স্থানে কেটে গেলে। সেই স্থানে পান পাতার রস বা পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। সংক্রমণ বা জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। খিদে মন্দা বা পাকস্থলী সমস্যাতেও পান পাতার উপকারিতা রয়েছে। পাকস্থলীর অম্লমান বা পিএইচের মাক ঠিক না থাকলে। শরীরে সমস্যা দেখা দেয় খিদে মন্দ হয়। এ ক্ষেত্রে সামান্য পান পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
রাকেশ মাইতি