তবে এই শীতের ছুটিতে ইতিহাস জানতে গেলে ঢুঁ মারুন এই জায়গা থেকে। সামান্য বয়সে দেশ বাঁচাতে ফাঁসির দড়ি গলায় ঝুলিয়েছিলেন এই কিশোর। যে সময়ে সকলের পড়াশোনা করার কাজ, সেই বয়সেই প্রথমে বই বোমা নিয়ে অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে মারার পরিকল্পনা, পরে বোমা নিয়ে বিহারের মুজাফফরপুরে গিয়ে কিংসফোর্ডকে হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এই কিশোর। পড়ার বয়সে যে ছেলে দেশকে স্বাধীন করতে হাতে বোমা, বন্দুক তুলে নিয়েছিল, সেই কিশোরের জন্ম হয়েছিল অবিভক্ত মেদিনীপুরে। যদিও তার জন্মস্থান নিয়ে একাধিক মতপার্থক্য রয়েছে। জেলার দুটি জায়গাকে তার জন্মস্থান হিসেবে মেনেছেন জেলার মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুরে উত্তরবঙ্গের স্বাদ, প্রকৃতির কোলে এক টুকরো স্বপ্ন নগরী, হালকা শীতে ঘুরে আসুন
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে জন্ম ক্ষুদিরামের, এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও গবেষকেরা দাবি করেন ক্ষুদিরামের জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরে। এই হবিবপুর মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত সেখান থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরেই কেশপুরের মোহবনি গ্রাম। বেশ কয়েকজন মনে করেন হবিবপুরে জন্ম ক্ষুদিরামের, বেশ কয়েকজন আবাদ প্রমান দিয়েছেন তার জন্ম কেশপুরে। যদিও সেখানে বেশিদিন থাকেনি বলে দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুনঃ ৫ মিনিটও সময় লাগবে না! প্রেশার কুকারে শুধু ২ সিটিতে বানিয়ে ফেলুন পারফেক্ট দুধ চা, রইল রেসিপি
তবে ছোট থেকেই ভারতকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্তি দিতেই তিনি প্রাণ দিয়েছেন। সেই ক্ষুদিরামের জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। মনে করা হয়, কেশপুর ব্লকের মোহবনি এলাকায় জন্ম ক্ষুদিরামের। তবে বেশ কিছু গবেষকেরা দাবি করেন, হবিবপুরে কালী মন্দিরের ঠিক বিপরীতেই তার জন্ম হয়। এও দাবি করা হয় যে, এই কালীমন্দিরে মানত করেছিলেন ক্ষুদিরামের মা। তবে হবিবপুরের তার এই জন্মস্থানকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। জন্মভিটাকে সংরক্ষণ করেছে প্রশাসন, রয়েছে শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতি। তবে জানা যায়, কেশপুরের মোহবনী এলাকায় থাকতেন ক্ষুদিরাম বসুর পূর্বপুরুষ এবং বর্তমানে উত্তর পুরুষেরা।
স্বাভাবিকভাবে, ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। বড় হয়ে ওঠা, বিদ্যালয়ে জীবন মেদিনীপুর শহরে। যদি এই শীতের বিকেলের কনিষ্ঠ বিপ্লবীর জন্মস্থান ঘুরে দেখতে চান, ঘুরে দেখুন এই জায়গা। সামনেই প্রাচীন কালী মন্দির, জানতে পারবেন ইতিহাস, মন ভাল হয়ে যাবে।





