শাল মহুয়ার ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে খ্যাঁদারানি হ্রদ। তার এমন নাম কেন, জানা নেই। তবে পড়ন্ত বিকেলে খ্যাঁদারানির সৌন্দর্য মন ভরিয়ে দেবে। হ্রদের পাশেই রয়েছে একটি কংক্রিটের সেতু। সেখান থেকেই পাহাড়ের কোলে সূর্যের টুপ করে ডুব দেওয়া দেখতে দিব্যি লাগবে। জায়গাটির আশপাশে তেমন জনবসতি নেই। এক দিকে জঙ্গলের মধ্যে হ্রদ, অন্য দিকে ঢেউ খেলানে সবুজ প্রান্তর। যা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারবেন এখানে। কলকাতা থেকে আসা শম্পা হালদার বলেন, ‘চারিদিক সবুজ সতেজ তিনদিক পাহাড়ে ঘেরা জলাধার দেখতে ভাল লাগছে। বর্ষার সৌন্দর্য উপভোগ করতেই বেলপাহাড়িতে এসেছি। কলকাতার এত কাছে এত সুন্দর স্পট রয়েছে না এলে বুঝতে পারবেন না।’
advertisement
আরও পড়ুন: ঝিরিঝিরি বৃষ্টি! কংসাবতীর ধারে রাত্রিবাস! শনি-রবি কাটিয়ে আসুন হাতিপাথর থেকে, কত খরচ হবে?
মাত্র বছর দশেক পিছিয়ে গেলে ভারি বুটের আওয়াজে গমগম করত ছে এই স্থানের নাম শুনলেই প্রথমেই মাথায় আসত মাওবাদীদের কথা। মাও-ভয়ে জুজু হয়ে থাকা সেই বেলপাহাড়ি এখন পর্যটকদের কোলাহলে মুখর। গোটা জঙ্গলমহলে একের পর এক পর্যটন কেন্দ্র বর্ষায় পর্যটকে ঠাসা। কসবা থেকে আগত পর্যটক ধনঞ্জয় হালদার বলেন,’বর্ষার সময় একটা আউটিং এর প্রয়োজন ছিল অফিসের রুটিন ওয়ার্ক ছেড়ে মন ভাল করতে রওনা দিয়েছিলাম, চারিদিক সবুজ শান্ত প্রকৃতির মাঝে জলের আওয়াজ সত্যিই অসাধারণ।’
কীভাবে যাবেন-খ্যাঁদারানি হ্রদে। প্রথমে ট্রেনে বা বাসে ঝাড়গ্রাম। সেখান থেকে মাত্র ৩৭ কিমি পথ বেলপাহাড়ি।সেখান থেকে জলাধারের দূরত্ব মোটামুটি ৯ কিমি। বেলপাহাড়ি থেকে হদরা মোড় হয়ে গোয়ালবেড়া গ্রাম। এর পর ডানদিকে গাড়ি ঘুরিয়ে কিছুটা কাঁচা রাস্তা। জঙ্গল পাথুরে ও মোরামের পথ পেরোলেই পৌঁছে যাবেন খ্যাঁদারানি হ্রদে। এখানে এসে থাকতেও পারেন রয়েছে একটি রিসর্ট। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে গাড়িতে বেলপাহাড়ি ৩৭ কিলোমিটার। ঝাড়গ্রাম গিয়ে সেখান থেকে গাড়ি নিয়েও ঘুরে দেখা যায় জলাধারটি।
তন্ময় নন্দী