ঢাঙিকুসুমে বাস আদিবাসীদের। এখানের বেশির ভাগ মানুষই পাথর কেটে থালা-বাটি-বাসন এবং আরও নানা জিনিসপত্র তৈরি করেন। গ্রাম থেকে জঙ্গলের পথ একটু ঘন। আর এই নিস্তব্ধ জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটে গেলে কানে আসবে জলপ্রপাতের শব্দ। কাছে গেলেই চোখে পড়বে ডুংরি ফলসের। এছাড়াও এখানে রয়েছে হদহদি ঝর্না। যদিও এই সব ছাড়া সেই অর্থে এখানে কিছু দেখার নেই। ঝাড়গ্রাম বেড়াতে গেলে একদিনের সফরে অনায়াসে ঘুরে নেওয়া যায় ঢাঙিকুসুম। আর যদি দুটো দিন প্রকৃতির কোলে বিশ্রাম নিতে আসেন, তাহলে সেরা ঠিকানা হতে পারে বেলপাহাড়ি ঢাঙিকুসুম।
advertisement
আরও পড়ুন: নামেই ‘হত্যা‘! সপ্তাহান্তের ছোট্ট ছুটিতে বেড়াতে আসুন শাল-পিয়ালে ভরে থাকা টিলায় ঘেরা খুনডুংরিতে
বেলপাহাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সবুজে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম, মূলত অখ্যাত এই গ্রাম বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। এলাকার অধিবাসীদের প্রাচীন জীবিকা ছিল পাথর শিল্প। গভীর জঙ্গলে গিয়ে পাহাড় থেকে পাথর সংগ্রহ করে এনে নানান জিনিস বানিয়ে এদিক ওদিক বিক্রি করা ছিল রুটি রুজির উৎস। তবে কালের নিয়মে ফাইবার, প্লাস্টিকের যুগে ব্যবহার কমেছে পাথরের থালা-বাটির। গোটা গ্রাম জুড়ে সকলে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমান প্রজন্ম মুখ ফিরিয়েছে। তবে এখনও পূর্বপুরুষদের সেই পেশা টিকিয়ে রেখেছেন হাতেগোনা কয়েকজন। সারা বছর বিক্রি তথৈবচ অবস্থায় থাকলেও বছরে নির্দিষ্ট সময়ে পর্যটন মরশুমে সামান্য বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলের মহিলাদের চাপড়া ষষ্ঠী পালন! এই ব্রত কেন করা হয়? আজও অনেকে জানেন না সেই কারণ
গ্রামের চারপাশে ছোট বড় পাহাড়, গভীর জঙ্গল। সবুজ পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে এখানে মন্দ লাগবে না। সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর সেরা ঠিকানা বেলপাহাড়ির ঢাঙিকুসুম।





