আরও পড়ুনঃ হঠাৎ আবার কী হল! ২১ পাকিস্তানি নিয়ে ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দরে জাহাজ! তড়িঘড়ি যা করা হল…
প্রসঙ্গত জানা যায় প্রায় অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়।বর্ধমানের ছোট নীলপুরের ঘোষবাড়ির ছেলে ভরতচন্দ্র স্ত্রী বিমলা দেবীকে নিয়ে চলে আসেন সুরুলে।সন্তানলাভের আশায় গুরু বাসুদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন দু’জনে।সুরুল ছিল বৈষ্ণব ধর্মগুরু বাসুদেবের শ্রীপাট।গুরুদেবের নির্দেশেই ভরতচন্দ্র থেকে যান সুরুলে।আর বর্ধমানে ফিরে যাননি।তাঁর পুত্র কৃষ্ণহরি ও তাঁর ছেলেরা সেই সময়ে ফরাসি ও ইংরেজ কুঠিয়ালদের সঙ্গে ব্যবসা করে পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি করেন।তাঁর আমলেই নির্মিত হয় পঞ্চরত্ন মন্দির।পরবর্তীকালে অবশ্য সম্পত্তি ও প্রতিপত্তির দৌড়ে তাঁকে টেক্কা দিয়েছিলেন নাতি শ্রীনিবাস।
advertisement
১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে সুরুলে ব্যবসা করেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম রেসিডেন্ট জন চিফ।ভরতচন্দ্র জন সাহেবের সঙ্গেই ব্যবসা শুরু করেন।সরকার পরিবারের মূল উপার্জন ছিল নীল চাষ থেকে।এছাড়াও জাহাজের পাল তৈরির কাপড়, চিনির ব্যবসাও ছিল সরকার পরিবারের।পরে এই পরিবারের আরেক কর্তা ব্রজবল্লভের পুত্র শ্রীনিবাস সরকারের আমলে সরকার পরিবার ফুলে ফেঁপে ওঠে।
গ্রীষ্মের ছুটিতে আপনি যদি বোলপুর শান্তিনিকেতন ভ্রমণে আসেন তাহলে বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পর অবশ্যই একবার ঘুরে দেখতে পারেন এই সুরুল রাজবাড়ি।বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে দেখার এক সেরা ডেস্টিনেশন হতে পারে এই রাজবাড়ি। আপনি বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকে যে কোন ধরনের গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন এখানে।
সৌভিক রায়