বালুরঘাটের রোবট রেস্তোরাঁ তাদের খাবার পরিবেশনের জন্য ট্রেন চালু করেছে। “বালুরঘাট – মালদা এক্সপ্রেস” নামক এই ট্রেন-থিমযুক্ত রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশনের জন্য ডাইনিং টেবিলের পাশ দিয়ে যেতে দেখা যায়। এই ট্রেন কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই রান্নাঘর থেকে সরাসরি খাবার পরিবেশনের টেবিলে পৌঁছায়। এই উদ্যোগটি জেলার বাসিন্দাদের দ্বারা সমাদৃত হচ্ছে কারণ এটি এখন পর্যন্ত শহর জুড়ে অনেক লোককে আকৃষ্ট করেছে ইতিমধ্যেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ যত ইচ্ছে তত! মাত্র ১০০টাকাতে আনলিমিটেড ফুচকা! কোথায় পাবেন জানেন?
একলাখি-বালুরঘাট রেল প্রসারণ হলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, বালুরঘাট থেকে সীমান্ত এলাকা হিলি পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২৭ কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণের। দীর্ঘ বছর পর সেই কাজ শুরু হওয়াতে খুশি জেলাবাসী। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত যে সমস্ত রেল স্টেশন গুলি তৈরি হবে সেখানে হিলি – বালুরঘাট ছাড়াও একাধিক রেলস্টেশন হিসেবে ত্রিমোহিনী, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, মালদা স্টেশনের নাম রেস্তোরাঁয় তুলে ধরা হয়েছে। এর ফলে কচিকাঁচা সহ বড়দের ট্রেনের স্মৃতিগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে রোবট রেস্টুরেন্ট। যা একটি দুর্দান্ত ট্রেন যাত্রার অনুভূতি তৈরি করে।
এবিষয়ে রেস্তোরাঁর কর্ণধার বিজন কবিরাজ জানান, “আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সকলের মনে। আট থেকে আশি, সকলকে আনন্দ দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।খাবার পরিবেশনের ট্রেনটি বিদ্যুতে চলে এবং খাবার তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা ট্রেনে তুলে নির্ধারিত টেবিলে পাঠানো হয়। ট্রেনের বগিতে গ্রাহকদের পরিবেশনের জন্য সুস্বাদু খাবার ভর্তি করা হয়। প্রতিটি টেবিলগুলিতে ত্রিমোহিনী, হিলি, বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, মালদা স্টেশনের নাম লেখা রয়েছে। ফলস্বরূপ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গ্রাহকেরা টেবিলের প্রান্তে থাকা স্টেশনে এসে বসে তাদের পছন্দ মতন খাবার অর্ডার করছেন।”
তবে শুধুমাত্র বাচ্চারাই নয়, তাদের সঙ্গে বাড়ির বড়রাও এই রেস্তোরাঁয় ছোটবেলায় ফিরে গিয়ে আনন্দ অনুভব করছে। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল পরিহার্য হয়ে উঠেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ভিন্ন ধরনের সাদ পাবে এই রোবট রেঁস্তোরায় আসলে। সন্ধ্যে নামতেই রেঁস্তোরায় কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধদের ভিড়ে যেন গমগম করছে। সাড়াও মিলছে ব্যাপকহারে।
সুস্মিতা গোস্বামী





