দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে পাথরের তৈরি এমন স্থাপত্য। পাথরের উপর পাথর সাজিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে চারিদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এই ঐতিহাসিক ক্ষেত্র। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব বেশ মূল্যবান। শুধু ভ্রমণ পিপাসু মানুষজনের কাছেই যে এক প্রিয় জায়গা তা নয়, বাংলার এবং ভারতের ইতিহাসে এক অন্যতম পিঠস্থান। তবে এই ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে আপনার গন্তব্য হোক এই জায়গা। ইতিহাস ক্ষেত্র ঘুরে আপনি কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন নদীর পাড়ে। নদীর পাড়ে বালুচরে বসে দেখতে পারবেন দিনের শেষ সূর্যাস্ত। স্বাভাবিকভাবে সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যাবে আপনার।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক এক ব্লক কেশিয়াড়ি। এ কেশিয়াড়িতেই রয়েছে ঐতিহাসিক কুরুমবেড়া ফোর্ট। যার চারিদিক পাথর দিয়ে তৈরি। পাথরের উপর পাথর দিয়ে সাজানো এক স্থাপত্য। ইতিহাস ঘেঁটে নানান বর্ণনা পাওয়া যায়। কেউ কেউ মনে করে এটি ধর্মীয় ক্ষেত্র ছিল, কারোর মতে এটি ছিল সেনা ছাউনি। কেউ কেউ আবার বর্ণনা দিয়েছেন এটি ছিল তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি পান্থশালা। যেখানে তীর্থযাত্রা বিনামূল্যে কিংবা সামান্য অর্থের বিনিময়ে থাকতে পারতেন। তবে ইতিহাসের মধ্যে মত পার্থক্য থাকলেও ঘুরে দেখার এক অন্যতম জায়গা। শুধু তাই নয় কুরুমবেড়া ফোর্ট দেখে আপনি চলে যেতে পারবেন মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে সুবর্ণরেখা নদীতে। নদীর বালুচরে প্রিয়জনের সঙ্গে বসে উপভোগ করতে পারবেন শান্ত নদীর প্রবাহ সঙ্গে সূর্যাস্ত।
স্বাভাবিকভাবে এই শীতের মরশুমে আপনার ঘোরার তালিকায় থাকুক এই দুই জায়গা। এই দুই জায়গা একদিনেই ঘুরে দেখা সম্ভব। সকালে ইতিহাসক্ষেত্র, দুপুরের খাবার সেরে বিকেলে নদীর পাড়ে সূর্যাস্ত দেখা। সারাদিনই এক আলাদা প্রশান্তি মিলবে।
রঞ্জন চন্দ