শরীরে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি ত্বকের ক্ষতির অন্যতম কারণ।এ জন্য দরকার অভ্যন্তরীণ পুষ্টি। খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিদিন যেসব খাবার খাওয়া হয়, তা যেন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া বা না পড়ার ক্ষেত্রে খাবারের ভূমিকা রয়েছে। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে প্রতিদিনকার খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: LPG Subsidy: রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির ২০০ টাকা পেয়েছেন? না পেলে চেক করুন এই ভাবেই
টম্যাটো: শুরু করা যাক প্রতিটি ঘরে পাওয়া যায় এমন সহজলভ্য সাধারণ খাবার দিয়ে। এই তালিকায় শুরুতেই আসবে টম্যাটোর নাম। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টম্যাটো হল লাইকোপিনের সর্বোত্তম উৎস। এতে আছে অ্যান্টি-এজিং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা হৃদরোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে। তবে রান্না করা খাবার থেকে লাইকোপিন আরও বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়। তাই টম্যাটোর স্যুপ বা স্টু খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ডার্ক চকোলেট: যাঁরা চকোলেট খেতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্য ভালো খবর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডার্ক চকোলেট বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি পলিফেনলের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, মনে করা হয় যে ফ্ল্যাভানল এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং অকাল বার্ধক্য থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Healthy Lifestyle: বিছানায় যৌন তৃপ্তির চূড়ায় পৌঁছতে চান? শুধু রান্নাঘরে উঁকি দিলেই হবে!
ফ্ল্যাক্স সিড: এই বীজের অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং লিগন্যান্সের একটা দুর্দান্ত উৎস যা ত্বককে হাইড্রেটেড এবং মসৃণ রাখে।
দারচিনি: যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের জন্য দারচিনি দুর্দান্ত কার্যকরী উপাদান। চা, কফি, স্মুদি এমনকী ডেজার্টেও দারচিনি যোগ করা যেতে পারে। এটা রক্তে শর্করার মাত্রাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকে তেল উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে, যার ফলে ত্বক পরিষ্কার হয়।
আরও পড়ুন: Health Tips: মন খারাপের ওষুধ আইসক্রিমের কি কোনও স্বাস্থ্যগুণ নেই! খেলেই ক্ষতি? অবশ্যই জানুন
চিয়া বীজ: চিয়া বীজ হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস যা ত্বকের সুস্থ কোষের কার্যকারিতা এবং নতুন কোলাজেন উৎপাদনের জন্য বিল্ডিং ব্লক সরবরাহ করে। ফলে ত্বক কোমল হয় এবং বলিরেখা মুক্ত থাকে।
আদা: অনেক ফেসিয়াল উপাদানেই আদা দেওয়া হয়। এর সবচেয়ে বড় কারণ আদায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা ত্বকে প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Prices : ঊর্ধ্বমুখী অশোধিত তেলের দাম, ফের বিপুল দাম বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের ?
অ্যাভোকাডো: ত্বক সতেজ রাখতে এর কোনও বিকল্প নেই। ঝলমলে ত্বকের প্রাথমিক শর্ত হল আর্দ্রতা। অ্যাভোক্যাডোয় প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এটি ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে ওঠে মোলায়েম ও আর্দ্র। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অ্যাভোকাডো রাখতেই হবে।