Gardening Tips: সাধের গাছ ঝিমিয়ে পড়ছে, হলুদে হয়ে যাচ্ছে পাতা? এই '৬' উপায়ে মৃত গাছেও ফিরবে প্রাণ, বছরভর সবুজ পাতা, ফুল-ফলে ভরে থাকবে গাছ
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Tips And Tricks: যদি বাগান করার শখ থাকে, কিন্তু বাড়িতে লাগানো গাছগুলি বারবার শুকিয়ে যাচ্ছে বা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, তাহলে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রস্তাবিত এই ৬ পদ্ধতি জানুন, সারা জীবন বিনামূল্যে গাছ বাঁচিয়ে রাখুন...
advertisement
1/7

*বাগান করার টিপস: আপনার বাগান বা বারান্দার গাছপালা ঠিকমতো বাড়ছে না? পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে? ফুল ও ফল কমে আসছে? আপনি যদি গাছগুলিকে সুস্থ, সবুজ এবং ফুল ও ফলে ভরা দেখতে চান, তাহলে আপনার দামি সারের প্রয়োজন নেই। আপনার রান্নাঘর এবং বাড়িতে থাকা বিনামূল্যের জিনিসগুলি আপনার গাছের স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।
advertisement
2/7
*লেবু-কমলার খোসা দিয়ে তৈরি জৈব এনজাইম থেকে পুষ্টি। লেবু এবং কমলার খোসা ফেলে দেবেন না, বরং এগুলি গাছের জন্য একটি চমৎকার জৈব সার হয়ে উঠতে পারে। লেবু এবং কমলার খোসা, গুড় এবং জল (১:৩:১০) অনুপাতে একটি এয়ারটাইট পাত্রে মিশিয়ে তিন মাস ধরে রেখে দিন। এরপর, এক লিটার জলে দুই চামচ দিলেই প্রস্তুত জৈব এনজাইম, সেই জল গাছগুলিতে ঢেলে দিন। এই তরল সার গাছের শিকড়কে শক্তিশালী করে এবং তাদের বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। প্রতি মাসে একবার স্প্রে করুন।
advertisement
3/7
*ব্যবহৃত চা পাতাঃ যদি আপনি চা পান করেন, তাহলে ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে সংগ্রহ করুন। চা পাতা নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ, যা গাছের পাতা সবুজ রাখে। চা পাতা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন যাতে এতে কোনও চিনি বা দুধ অবশিষ্ট না থাকে। তারপর সরাসরি গাছের মাটিতে মিশিয়ে দিন অথবা পানিতে গুলে গাছে দিন। প্রতি ২০ দিন অন্তর এই সার ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতি খুবই সহজ এবং গাছের জন্যও খুবই উপকারী।
advertisement
4/7
*ভেজা রান্নাঘরের বর্জ্য থেকে তৈরি কম্পোস্টঃ সবজি এবং ফলের খোসা, ভেজা রান্নাঘরের বর্জ্য, যেমন আলুর খোসা, অবশিষ্ট টমেটোর খোসা বা ফলের খোসা একটি চমৎকার জৈব সারে পরিণত হতে পারে। এগুলো ৩-৪ দিন জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর, প্রস্তুত কম্পোস্ট চা ফিল্টার করে গাছে দিন। এটি কেবল গাছগুলিকে পুষ্টি জোগায় না, বরং মাটির গুণমানও উন্নত করে। প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর একবার স্প্রে করুন। এতে গাছে আরও ফুল এবং ফল হবে।
advertisement
5/7
*গোবর এবং হলুদঃ গোবরে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে। ১-২ দিন জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর তাতে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে গাছে দিন। হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, যা গাছকে রোগ থেকে রক্ষা করে। প্রতি ১৫ দিনে একবার এই তরল সার ব্যবহার করুন। গাছ শক্তিশালী এবং রোগ প্রতিরোধী হয়ে ওঠে।
advertisement
6/7
*কলার খোসা থেকে পুষ্টিকর পটাশিয়ামঃ কলার খোসা কেবল ভিটামিন সমৃদ্ধই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামও থাকে, যা ফুল ও ফল বিকাশে সহায়তা করে। কলার খোসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো তৈরি করুন। প্রতি মাসে একবার গাছের মাটিতে এই গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। আপনি চাইলে কাটা খোসা সরাসরি মাটিতে লাগাতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
advertisement
7/7
*বাড়িতে জল সাশ্রয়ের উপায়ঃ কখনও কখনও, গাছগুলিকে অতিরিক্ত জল দেওয়ার ফলে শিকড় পচে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি পুরানো রান্নাঘরের বর্জ্য এবং জৈব এনজাইম ব্যবহার করে গাছের প্রয়োজন অনুসারে জল সরবরাহ করতে পারেন। ফলে গাছে যাতে জলের ঘাটতির সম্মুখীন না হয় এবং তাদের স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ণ থাকে তা নিশ্চিত করা যাবে, এই পদ্ধতি পরিবেশবান্ধবও।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Gardening Tips: সাধের গাছ ঝিমিয়ে পড়ছে, হলুদে হয়ে যাচ্ছে পাতা? এই '৬' উপায়ে মৃত গাছেও ফিরবে প্রাণ, বছরভর সবুজ পাতা, ফুল-ফলে ভরে থাকবে গাছ