পাহাড়ে ট্রেকিংয়ের আগে এ বড় পাথরখণ্ডে চড়ে অভিযাত্রীরা এখানেই অনুশীলন করেন। তবে এখন পর্যটকরাও এখানে উঠতে পারেন। প্রথম এভারেস্টজয়ী তেনজিং নোরগের নামে এ পাথরখণ্ডটির (রকের)নামকরণ করা হয়েছে। এর একটি ইতিহাস আছে। সকলেরই জানা যে তেনজিং এভারেস্ট জয় করেছিলেন ১৯৫৩ সালে। আর এই তেনজিং রক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালে। এটি একটি প্রাকৃতিক পাথরখণ্ড। জানা যায়, তেনজিং নোরগে এভারেস্ট জয়ের আগে এতে অনুশীলনও করেছিলেন। পরের বছর পর্বতারোহণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এই সব বিষয় কি আপনাকে যৌন মিলনের সমান আনন্দ দেয়? আপনি স্যাপিওসেক্সুয়াল নয় তো? জানুন চিকিৎসকের মত
কোনও নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই এই পাথরখণ্ডে ওঠেন তেনজিং। দার্জিলিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হিমালয়ান মাউন্টেইনিং ইনস্টিটিউটের প্রথম ডিরেক্টরও হন নোরগে। এই রকটি এখনও পর্বতারোহী ও ভারতীয় সেনাদের মহড়ার জন্য আদর্শ।
বাংলাদেশ থেকে আগত এক পর্যটক মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ” আমি এই প্রথম দার্জিলিঙে ঘুরতে এলাম। এখানে এসে খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করছি শহরটাকে। আজ তেনজিং রকে উঠে দারুণ অনুভূতি হল।\” কলকাতা থেকে আগত শুভশ্রী দাদ বলেন, ‘ আমি এর আগে কোনদিনও মাউন্টেন ক্লাইম্বিং করিনি। আজ প্রথম এক্সপেরিয়েন্স করলাম প্রথমে একটু অসুবিধা হচ্ছিল তবে অন্যরকম মজা হল।
দার্জিলিং শহর থেকে গাড়িতে তেনজিং রক যেতে সময় লাগে আধ ঘণ্টার মতো। কোমরে দড়ি বেঁধে দিলে আরেকটি দড়ি ধরে পাথরের শরীর বেয়ে উঠতে হয়। উপরে কোমরের দড়িটি ধরে রাখেন আরেকজন। পাহাড়ি চূড়ায় দাঁড়িয়ে পাহাড় ও দার্জিলিং দেখার আলাদা মজা রয়েছে। শারীরিক ভারসাম্যের অনুভূতির জন্য জায়গাটা চমৎকার।
অনির্বাণ রায়