শালুক ফুল থেকে ফল হয়। মালদহে সেই ফলকে ভ্যাট ফল বলা হয়। মূলত জলাশয়ে শালুক গাছ হয়। মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক বিল রয়েছে, সেগুলিতে শালুক দেখা যায়। অক্টোবর মাস থেকে শালুক ফল তোলা শুরু করেন এই গুটিকয়েক পরিবার।
আরও পড়ুন : রাজ্য সড়কের পাশে জঙ্গলে উদ্ধার কয়েকশো হেলমেট, ঘটনায় বাড়ছে রহস্য
advertisement
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁরা সেগুলি নিয়ে আসেন। বাড়িতে সেই ফল পচানো হয়। ফল পচে গেলে ভেতরের বীচ বেরিয়ে আসে। জলে পচা ফল পরিষ্কার করে বীচ বার করা হয়। সেই বীচ ভালো করে রৌদ্রে শুকিয়ে তারপর বালি দিয়ে ভাজা হয় খই। সেই খই থেকে বালির কণা ও অনান্য নোংরা পরিস্কার করার হয়। এই ভাবেই তৈরি হয় শালুক ফলের খই।
আরও পড়ুন : গোটা রাজ্যের জন্য সুসংবাদ, হঠাৎ পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের মধ্যে খুশির হাওয়া
এই খই ওজনে খুব হালকা। খুব ছোট ছোট শালুক ফলের বীজ। খই এর আকার যেমন ছোট তেমনি ওজনেও হালকা।তবে বাজারে চাহিদা খুব। প্রতিবছর মালদহ সহ আশেপাশের বাসিন্দারা এই খই কেনার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। গত বছর বাজারে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এই বছরেও দাম পাবেন আশায় রয়েছেন বিক্রেতারা। শালুক ফলের পুষ্টিগুণ প্রচুর। এই বলে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট,চর্বি, প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, নিয়াসিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। এই বীজে যেমন জীবাণুরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, পাশাপাশি সম্ভব্য সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।