শহর লাগোয়া এই ইওয়াম মঠ এখন পর্যটকদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে। শহরের কোলাহলপূর্ণ জীবনের ভিড় থেকে বিচ্ছিন্ন, ইওয়াম মঠ শিলিগুড়ির মূল কেন্দ্রস্থল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। জঙ্গলঘেরা বেঙ্গল সাফারির ঠিক পেছন দিকটাতে এমন সুন্দর একটি বৌদ্ধমঠ পৌঁছলেই মন ভাল হয়ে যাবে সকলের। কারণ ওই জায়গার শীতল পরিবেশ এবং স্নিগ্ধতা সব দুঃখ, সমস্যা দূর করে দেয়।
advertisement
এই ইওয়াম তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের নাইংমা স্কুল প্রচার করে যা চারটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রাচীনতম বলে বিবেচিত হয়। মঠটি বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র বলে মনে করা হয়।মঠটি প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্যশৈলীকে চিত্রিত করে। সাততলা মঠটিতে অত্যাশ্চর্য শিল্পকর্ম এবং জটিল খোদাই রয়েছে। জমকালো কিলখোর অঙ্কন দেয়াল এবং পুরো ছাদ জুড়ে যে শিল্পকলা রয়েছে তা দেখলে সত্যিই আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
আলিপুরদুয়ার থেকে ঘুরতে আসা অভীক দাস বলেন, “আমি প্রথমবার এই জায়গায় ঘুরতে এলাম। এত বড় বৌদ্ধ মঠ আমার দেখা প্রথম। জায়গাটাতে একটা অদ্ভুত শান্তি রয়েছে। একবার এখানে এলে সহজে ফিরে যেতে ইচ্ছে করবে না।” রামকেশ চৌধুরী বলেন, “অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় জায়গা এটি। আর আবহাওয়া খুব সুন্দর। আমি আমার গোটা পরিবারকে নিয়ে এসেছি। সবাই মিলে এই জায়গাটি ঘুরে দারুন উপভোগ করলাম।শহর থেকে একেবারেই কাছে এই জায়গাটি। যে কোনওঁ শেয়ার টোটো করে এখানে খুব সহজেই চলে আসা যায়।”
অনির্বাণ রায়





