শারদীয়ার আমেজে শহর জুড়ে আলো, প্যান্ডেল আর উৎসবের ঢেউ। আর এই উৎসবকে আরও মিষ্টি করে তুলতে ব্যস্ততা এখন বেলাকোবার চমচম ঘিরে। জেলার গর্ব এই মিষ্টি শুধু স্থানীয়দের পাতে নয়, প্রতিবছর পুজোর সময় ভোগে পৌঁছে যায় শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পৌঁছয় এই বিখ্যাত চমচম।
advertisement
ভাবছেন তো , কেন এত বিশেষ এই চমচম? এর স্বাদে মিশে আছে বাংলাদেশের পোড়াবাড়ির মিষ্টির আভাস। খাঁটি ছানার ব্যবহারই এর আসল শক্তি। মিষ্টি কারিগরদের কথায়, ‘প্রতিদিন প্রচুর দুধ আসে শহর থেকে। সেখান থেকে ছানা কেটে নেওয়া হয়। সামান্য ময়দা দিয়ে আঠালো ভাব আনা হয়, তারপর হাতে ভালভাবে মথে নিয়ে নির্দিষ্ট আকার দিয়ে চিনির শিরায় ফুটতে দেওয়া হয়। ছানার পরিমাণ বেশি থাকায় মুখে দিলেই এই মিষ্টি মুখে মিলিয়ে যায়।’
পুজোর সময় যেন বাড়তি চাপ। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মিষ্টি কারিগরদের ব্যস্ততা অব্যহত। শুধু চমচম নয়, সঙ্গে কালাকন্দ আর নানা ধরনের মিষ্টির চাহিদাও থাকে ব্যাপক। তবুও বেলাকোবার চমচমের স্বাদ আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে।স্থানীয়দের মতে, ‘পুজোয় বেলাকোবার চমচম না হলে ভোগ অসম্পূর্ণ মনে হয়।’ দূর-দূরান্ত থেকেও মানুষ এই মিষ্টির খোঁজে চলে আসেন। এর জনপ্রিয়তা এতটাই যে পুজোর সময় ছাড়াও সারা বছরই বাজারে এর কদর অটুট থাকে! শিল্পীদের নিবেদিত পরিশ্রম আর খাঁটি উপাদানের মেলবন্ধনে বেলাকোবার চমচম আজ জলপাইগুড়ির পরিচয়ের অংশ।