যদিও সম্পূর্ণ গড় ঘুরে দেখতে পারবেন না আপনি। কারণ সংস্কারের কাজ বাকি। তবে গড়ের প্রবেশদ্বার, উঁচু পাঁচিল দেখতে পাবেন। গড় সংলগ্ন এলাকায় একটি ঝিল দেখতে পাবেন।যা ইতিহাসের ধারক, বাহক। ঐতিহাসিকদের মতে, নল রাজার গড় একটি প্রাচীন পুরাত্বিক স্থাপনা। ১৯৬৮-৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাতাত্বিক বিভাগের তৎকালীন ডিরেক্টর পরেশ চন্দ্র দাশগুপ্তের নেতৃত্বে এখানে উৎখনন হয়। সেই উৎখননের রিপোর্টে এই নল রাজার গড়কে একটা প্রাচীন দুর্গ বলা হয়েছে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এটি দেড় থেকে দুই হাজার বছরের পুরনো একটি স্থাপত্য। এটি গুপ্ত যুগের সামরিক শক্তি ও প্রশাসনিক কেন্দ্রের পরিচায়ক।ভোট রাজার সঙ্গে যুদ্ধ চালনার জন্য এই দুর্গ গড়ে ওঠে গুপ্ত যুগে। এই ঝিল ধরেই বজরা করে আসত সৈন্য ও অস্ত্র। এই দুর্গ যাতে পর্যটকরা ঘুরে দেখতে পারেন তার জন্য আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও জলদাপাড়া বন বিভাগ সংস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।চিলাপাতার জঙ্গল পর্যটকদের পছন্দের স্থান। এই জঙ্গলের নিস্তব্ধ পরিবেশ মন ছুঁয়ে যায় সকলের। যার কারণে বছরের প্রতিটি সময় পর্যটকদের যাতায়াত লেগে থাকে এই জঙ্গলে।
তার ওপর যদি এই দুর্গ সংস্কার হয়ে যায় তাহলে দেশ, বিদেশের আরও পর্যটক আসবেন এই এলাকায় বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। পর্যটন ব্যবসায়ী গণেশ কুমার শা জানান,”এই দুর্গ দ্রুত সংস্কার হক চাইছি আমরা। পর্যটনের শ্রীবৃদ্ধি তো হবেই পাশাপাশি আমাদের এই এলাকা শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত হবে। “
অনন্যা দে





