পাশাপাশি বিমান বসু এবং মহম্মদ সেলিমকেও নোটিশ পাঠানো প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, বিমানদা, সেলিমদা একজন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান, আরেকজন রাজ্য সম্পাদক। ওঁদের অনুমোদনে পার্টি অফিসে বসে কুৎসা হয়েছে। ওঁরা অনুমোদন করেছেন, প্রচারে সাহায্য করেছেন। খারাপ কথার ৪৮ ঘন্টা পরেও নিন্দা করেননি। এতে প্রমাণিত, ওঁরা এই কুৎসার সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক।
advertisement
কুণাল দাবি করেছেন, ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে সিভিল/ ক্রিমিনাল আইনমত ব্যবস্থা নেব। বিমানদা, সেলিমদা স্পষ্ট করে বলুন ওই ধরণের কুৎসিত কথাগুলো সমর্থন করেন কি না। মঙ্গলবারই শতরূপ ঘোষের বিরুদ্ধে ট্যুইট করেছিলেন কুণাল। সেখানে তিনি বলেন, "এই কি আমাদের পরিচিত শতরূপ? ২০২১ সালে নির্বাচনী হলফনামায় মোট সম্পদ ২ লক্ষ টাকা। এখন ২০২৩ সালে সানেই মোটর শোরুম থেকে মারুতি সুজুকির নতুন বিলাসবহুল মডেল গ্র্যান্ড ভিটারা কিনেছেন। দাম এবং আনুষঙ্গিক খরচ প্রায় ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে। গাড়ির নম্বর WB06Y2230,গাড়ি শতরূপের নামে। এককালীন পেমেন্ট করেছে ক্রেতা।"
কুণাল বলেন, "যদি এই শতরূপ সিপিএমের হন, তাহলে প্রশ্ন-১) হোলটাইমার এত টাকা পেলেন কোথা থেকে? ২) যদি বাবা বা কোনও আত্মীয় দেন, তাহলে পেমেন্ট ওর নামে কেন? সরাসরি তাঁরা কিনতে পারতেন। ৩) হোলটাইমার এত টাকা ব্যাঙ্ক লোন পেতে পারে কি? ৪) হোলটাইমার ২২ লাখের গাড়ি কিনছেন, পার্টি জানে? ৫) সর্বহারার দলের হোলটাইমার কমরেডের ২২ লাখি বিলাসবহুল গাড়ি চড়ার শখ হবে কেন?"
আরও পড়ুন, হাতিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু! আদিবাসী এলাকায় ব্যাপক প্রচারে নামছে তৃণমূল
আরও পড়ুন, 'বিরোধী ঐক্য TRP বাড়ানোর কৌশল, ২০১৯-র থেকে ২০২৪-এ বেশি আসন পাবে NDA,' বললেন শাহ
কুণালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই শতরূপ ঘোষ বলেন, "আমার বাবা-মা দুজনেই স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন। তাঁর বাবার ফিক্সড ডিপোজিট ২০২৬ সালে ম্যাচিওর হওয়ার কথা ছিল। সাটে ২০২২ সালে ভাঙিয়ে টাকা তোলা হয়। গাড়ির শো রুমে নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে ১১ হাজার টাকা জমা দেন। সেখানে তাঁর বাবার আইটি রিটার্ন দেখানো হয়েছে।" কুণাল ঘোষকে কটাক্ষ করে শতরূপের জবাব, "উনি ভুল কথা বলছেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর তো রয়েছেই। পারলে তদন্ত করুক।"