নয়া দিল্লি: বিরোধী ঐক্য নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য ‘বিরোধী ঐক্য’কে টিআরপি বাড়ানোর কৌশল বলে কটাক্ষ করেন।
নেটওয়ার্ক ১৮ গ্রুপের রাইজিং ইন্ডিয়া ২০২৩ সামিটে নেটওয়ার্ক ১৮ গ্রুপের এডিটর-ইন-চিফ রাহুল জোশির এক প্রশ্নের উত্তরে, অমিত শাহ বলেন, ‘এই সমস্ত জিনিসগুলি কেবল টিআরপি বাড়ায়।’
পাশাপাশি তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ২০২৪ সালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোট ক্ষমতায় ফিরবে, তাও ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি আসন নিয়ে।
অমিত শাহ বলেন, "চন্দ্রশেখর রাও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস— ধরুন এই চারটি দল মোদি বনাম বিরোধী ফর্মুলার অধীনে একত্রিত হয়েছে। ভাবুন তো চন্দ্রশেখর রাও যদি উত্তরপ্রদেশে জনসভা করেন, তাতে কি আদৌ প্রভাব পড়বে? তেলেঙ্গানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা হলে কি কিছু যায় আসে? নাকি (অখিলেশ) যাদব সাহেব যদি বাংলায় সভা করেন, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে?"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও জানান, এই নেতারা এবং তাঁদের দল কেবল নিজ নিজ রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বলেন, ‘এই ঐক্যের কোনও মানে নেই। এঁরা একে অপরকে নেতা হিসাবেই বিবেচনা করে না। জোটের স্বার্থে একে অন্যকে একটি আসনও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নন।’
অমিত শাহ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি টিআরএস তেলঙ্গানায় মমতাকে পাঁচটি আসন ছাড়ে তবে লড়াই হবে। সমাজবাদী পার্টিরও উত্তরপ্রদেশ আসন ছেড়ে দেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে মমতাকেও বাংলায় ৫-৫টি আসন ছেড়ে দিতে হবে সপা, টিআরএসকে। তবেই তো তারা ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু বিজেপির সামনে সবাই নিজেদের লড়াই লড়বে, আবার বলবে আমরা সবাই এক। কী করে তাঁরা এক হলেন?'
আরও পড়ুন, 'নরেন্দ্র মোদিকে ভুয়ো মামলায় ফাঁসানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল', বিস্ফোরক অমিত
আরও পড়ুন, ‘একটি পরিবারের জন্য দেশের আইন কি বদলানো উচিত?’, রাহুল গান্ধি নিয়ে অমিত শাহ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'গতবার যখন আমি বলেছিলাম যে পশ্চিমবঙ্গে আমাদের আসন সংখ্যা বাড়বে, তখন কেউ মানতে চায়নি, কিন্তু আমাদের আসন বেড়েছে। আমরা ওড়িশা এবং তেলঙ্গানায়ও আমাদের আসন সংখ্যা বাড়িয়েছি। আমাদের দল মাটিতে কাজ করে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে রয়েছে ভারতের প্রান্তিক গ্রাম থেকে রাজধানী দিল্লি পর্যন্ত।’
তবে দক্ষিণের রাজ্যগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অমিত শাহ স্বীকার করে নেন, তামিলনাড়ুতে বিজেপির সংগঠন দুর্বল। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক গ্রামে ও বুথে কাজ করেছি। যেখানে আমরা দুর্বল, সেখানে আমাদের শরিকরা রয়েছে।’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।