রাতভর অভিযানে বান্ডিল বান্ডিল নোট ছাড়াও একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ভোর পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা বালিগঞ্জের ঠিকানা থেকে বের হন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাতভর তল্লাশি, বান্ডিল-বান্ডিল ভর্তি টাকা! বালিগঞ্জে আর যা পেল ইডি, বিরাট চমক
তদন্তের সূত্রেই কয়লা পাচারকাণ্ডের এই বেসরকারি সংস্থার নাম সামনে আসে বলে জানা গিয়েছে। ইডি জানতে পারে, এই বেসরকারি সংস্থাটির মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হত। এখান থেকেই কয়লার কালো টাকা সাদা করা হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
advertisement
কয়লা পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায়ল তল্লাশি করছে দিল্লির ইডি-র দল। তল্লাশি চালানো হয়েছে কলকাতা ও পাশ্ববর্তী বেশ কিছু জায়গায়। বুধবার ভোরে দু'দল সিআরপিএফ শহরে আসেন। তারপরে তাদের সহযোগিতাতেই ইডি-র বিশাল দল ওই ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই তল্লাশি অভিযান চালায়। কয়লা পাচারের টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে, মানি ট্রেল লিঙ্কের সূত্রে ধরেই ইডির এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এবার সংস্থার কর্ণধার এবং হিসাবরক্ষকের কাছ থেকে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে চায় ইডি-র গোয়েন্দারা। সেই কারণেই তাঁদের দুজনেই নথিপত্র সঙ্গে করে দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছেন তাঁরা। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি-র আধিকারিকেরা মূলত জানতে চান, তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়া এই ১ কোটি ৪০ লক্ষ নগদ টাকা কোথা থেকে এল? কেন অফিসে রাখা ছিল?
আরও পড়ুন: টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, এবার রাজ্যে আসছে ক্যাগ অডিটের বিশেষ দল
এছাড়া, হিসাবরক্ষক অর্থাৎ, সংস্থার অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি-র আধিকারিকেরা জানতে চান, এই নগদ টাকা কোথা থেকে কোন পথে লেনদেন হল? সংস্থার বাকি লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও এই হিসাবরক্ষকের কাছ থেকে জানতে চায় ইডি। অন্যদিকে, গতকালই তল্লাশির সময় সংস্থার কর্ণধারকে আটক করে একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি-র তদন্তকারীরা। যদিও জানা গিয়েছে, তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। সেই কারণে, তাঁকে আবারও নয়াদিল্লিতে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।