আরও পড়ুন: বাজ পড়ে কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে দুই কৃষকের মৃত্যু, আহত ১
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে লোধাশুলি রেঞ্জের বিভিন্ন জঙ্গলে প্রায় চল্লিশটি হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। এতে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষের বিপদের আশঙ্কা বাড়ায় ওই হাতির দলটিকে খেদিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়ার দিকে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই মতো শুরু হয় অভিযান। বন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে হাতি খেদানোর এই অভিযানে যোগ দেন ৩০ জন হুলা পার্টির সদস্য। রাত পর্যন্ত হাতি খেদানো বা ড্রাইভিংয়ের কাজ ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাদের কংসাবতী নদী পার করিয়ে চাঁদড়ার জঙ্গলে ঢোকানোর পথেই এগিয়ে চলেছিল অভিযান। কিন্তু রাত একটা নাগাদ ওই দল থেকে একটি হাতি ছিটকে বেরিয়ে এসে হুলা পার্টির উপর হঠাৎ আক্রমণ করে।
advertisement
জানা গিয়েছে, দলছুট হাতিটি হঠাৎই ক্ষিপ্ত হয়ে লাগাতার আক্রমণ করতে থাকে। ওই আক্রমণেই হুলা পার্টির দু’জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় চার জন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত চারজনের মাধ্যে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। তবে হুলা পার্টির সদস্য সন্তোষ রানার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী। তিনি জানান, নিহতদের পরিবার সরকারি নিয়ম মতো ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়ে যাবে। এছাড়াও সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী নিহতদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ওই বনকর্তা।
রাজু সিং