বর্তমানে স্টিম মোমো থেকে ফ্রায়েড মোমোর চাহিদা অনেক বেশি। মোমোর জন্মস্থান তিব্বত। মোমো বলতে প্রথমে স্টিম মোমোকেই বোঝানো হত। কিন্তু ওই যে বাঙালি তো খাবার নিয়ে সবকিছুতেই এক্সপেরিমেন্ট করতে পারদর্শী। তাই স্টিম মোমো থেকে নতুন কনসেপ্ট মাথায় আসে ফ্রায়েড মোমোর। আর এখানেই কেল্লাফতে।অন্যান্য ধরনের মোমোরও জুড়ি মেলা ভার। কোথাও পালং মোমো তো আবার কোথাও গোলাপ মোমো-ফ্রায়েড মোমোর নাম শুনলেই প্রথমেই মাথায় আসে কাকিমার দোকানের ফ্রায়েড মোমো। এবার ফ্রায়েড মোমোর জনপ্রিয়তা আলাদাই মাত্রা এনে দিয়েছে জলপাইগুড়িবাসীর কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন : আপনি কি রাস্তার খাবার খান, তাহলে সাবধান! দেখুন ভিডিও
এই মোমো তৈরির পদ্ধতি সাধারণ মোমোর থেকে খানিকটা আলাদা। এতে ব্যবহার হয় বিভিন্ন ধরনের মশলা, মাংসের পুর। পরে সেটিকে মশলা দিয়ে ভাজা হয়। এই মোমো স্বাদেও যেমন অসাধারণ, দামও তেমন বেশি নয়। সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। শহরবাসী এক কথায় কাকিমার দোকানের ফ্রায়েড মোমো বলতে অজ্ঞান ।
আরও পড়ুন : বাবা মা দুজনেই আলাদা ঘর বেঁধেছেন, অর্থাভাবে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া
জলপাইগুড়ি শহরে শান্তি পাড়া মোড় এলাকায় দোকান কাকিমার । রোজ প্রায় ৩০০০হাজার পিস মোমো বিক্রি হয়। কাকিমার দোকানের ফ্রায়েড মোমোর স্পেশালিটি হল এই মোমো তৈরিতে প্যাকেটজাত কোন মশলা ব্যবহার করা হয় না। হাতে বাটা মশলাই ব্যবহার করা হয়। আর এতেই দ্বিগুণ হয়ে যায় ফ্রাই মোমোর স্বাদের মাত্রা। মোমো বিক্রেতা রীনা দে বলেন, " সন্ধ্যা থেকেই আমার দোকানে ফ্রায়েড মোমো খাওয়ার জন্য মানুষ এসে ভিড় করেন। সবাই খুব পছন্দ করে আমার দোকানের ফ্রায়েড মোমো। বিক্রিও বেশ ভাল হয়। জলপাইগুড়িবাসীর এত ভালবাসা পেয়ে খুব ভাল লাগছে।"