তবে সমস্ত দিক বিবেচনা করে এই কোকো বাইরে থেকে আমদানি কমাতে সরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের উত্তর পূর্ব ভারতের বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ায় এই চাষের ক্ষেত্রে আদর্শ। তাই কোকো চাষের প্রতি এখানকার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পরীক্ষামূলক ভাবে জলপাইগুড়ি জেলার মোহিত নগর কেন্দ্রীয় কৃষি খামারে তিরিশ রকমের কোকো চাষ করা হচ্ছে। প্রায় এক একর জমিতে এই গাছ লাগিয়ে চাষ করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে। এর মাধ্যমে এই তিরিশ রকমের কোকো থেকে সঠিক কোকো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। উত্তরবঙ্গের পরিবেশে কোন কোকো ভ্যারাইটি বেশি উৎপাদিত হচ্ছে সেটা জানতে পারা যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশের মধ্যবিত্তরা কি স্বস্তি পাবেন? দেখে নিন বিশেষজ্ঞদের মত!
আরও পড়ুন: আরও দাম বাড়ল সোনা-রুপোর, কিনতে যাওয়ার আগে দেখে নিন লেটেস্ট দাম
মূলত সেই প্রজাতির ভাল মানের কোকো গাছের চারা এই চাষের মধ্যে উৎসাহি কৃষকদের বিতরণ করা হবে আগামীতে। তবে এই গাছের চাষ করার ক্ষেত্রে যেকোন কৃষকের অতিরিক্ত জমির বিশেষ কোন প্রয়োজন নেই। এমনটাই জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির কৃষি বিজ্ঞানী ডক্টর অরুন কুমার সিট্। তিনি আরোও জানান, "এই অঞ্চলের অনেকের বাড়িতেই সুপারি গাছের বাগান রয়েছে। যেহেতু কোকো গাছ হালকা আলো-ছায়ায় এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভালো ফলন দেয়। সেই ক্ষেত্রে যে কোনও কৃষক নিজের বাড়ির সেই সুপারি বাগানের মাঝেই এই কোকো গাছ লাগাতে পারবেন। এবং সেই সেই কোকো গাছ ভাল ফলন হলে সেই ফল বিক্রি করে দ্বিগুন লাভও করতে পারবেন এই কৃষকেরা।’
Surojit dey