এইদিন নতুন বছরের শীতের সন্ধ্যায়, শিলিগুড়ির আড্ডাগলিতে জমল এমনি এক বৈঠকী আড্ডা, যেখানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কথাকাররা এসে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। চলে বিভিন্ন বই নিয়ে আলোচনাও (Siliguri Addagally)।
কবিতার একাধিক বই নিয়ে আলোচনা করেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে আগত কথাকাররা। এদিন মূলত তিনটে বই নিয়ে আলোচনা হয়। 'মহাভারতে শয়নকক্ষ', উত্তরবঙ্গের মেয়েদের ব্রতকথার উপর একটি বই, দ্বিভাষিক একটি কবিতার বই। এই তিনটি বই নিয়ে আলোচনা হয়। দ্বিভাষিক কবিতার বইয়ে উড়িয়া ও বাংলা ভাষা রয়েছে। এই কবিতার বইটিতে, আটজন কবির লেখা রয়েছে।
advertisement
কবি ও 'পদ্য' পত্রিকার সম্পাদিকা রিমি দে জানান, সঞ্চিতা চাকি লিখেছেন ব্রতকথা নিয়ে। তা নিয়ে আলোচনা করেন মনোনিতা মুখার্জি। দ্বিভাষিক কবিতার বই নিয়ে আলোচনা করেন শ্যামলী সেনগুপ্ত ও সুদীপ চৌধুরী। মহাভারতে শয়নকক্ষ লিখেছেন চৈতালি ধরিত্রীকন্যা। এই বই নিয়ে আলোচনা করে মহুয়া চৌধুরী।
রিমিদেবী বলেন, "এখানে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা সকলেই কবি ও কথাকার। এই আলোচনাটি একদম আড্ডার রূপে হয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, তথ্যর পাশাপাশি যাতে আড্ডার রূপে আমরা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করতে পারি। নির্দিষ্ট একজন নয়। সকলেই যাতে প্রাধান্য পায়, এমনই ব্যবস্থা করি আমরা। এই অনুষ্ঠান বহু বছর ধরে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে আমরা ভার্চুয়ালি এই সভা করি। তবে থামিনি কেউই। পরিস্থিতি যখন একটু স্বাভাবিক হয়েছিল, তখন আমরা ফের আড্ডা শুরু করি।"
তিনি আরও বলেন, "শিলিগুড়ির লেকটাউনে অবস্থিত আড্ডাগলিতে এই আয়োজনে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে কবিরা এসেছিলেন। আলিপুরদুয়ার থেকে এসেছিলেন সঞ্চিতাদেবী। কোচবিহার থেকে এসেছিলেন চৈতালি ধরিত্রীকন্যা। এছাড়াও ছিলেন কবি ও কথাকার সোমা ঘোষ, অনুজ মজুমদার, তর্পিতা সরকার, শিপ্রা পাল। বিশেষত লিটল ম্যাগাজিন নিয়েই আলোচনা করি।" (Siliguri Addagally)
কবিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, "কবিতার বই মূলত চার দেওয়ালের মধ্যে পড়তে হয়। কবিতার এই বৈঠকী আড্ডাগুলোই তা আরও উপভোগ করার মতো করে তোলে। কবিতা নদীর মতো বহমান। কবিতা এখন অনেকেই লিখছে। তবে পাঠক সংখ্যা কম। কারণ কবিতার একটা নির্দিষ্ট ভাষা রয়েছে। কিন্তু যাঁরা কবিতা পড়ে, তাঁরা খুঁজে খুঁজে কবিতা পড়ে।"
Vaskar Chakraborty