এই ঘটনায় ডাক্তারবাবু জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি লক্ষ্য করেন তাঁর দীর্ঘদিনের পুরনো ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে। বিষয়টি তার নজরে আনেন তাঁরই অফিসের একজন। তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে জানান। এরপর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে তিনি জলপাইগুড়ি সাইবার (Cyber) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি শহরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া (Social media) এবং নিজস্ব তথ্য (personal information)-এর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন! এই নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের হবার পর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
advertisement
এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, "প্রথমে আমিও বুঝতে পারিনি। আমার অফিসের একজন এবিষয়ে আমাকে জানান। এরপর আমি পুলিশের কাছে এক চিঠি পাঠাই। সেখান থেকে সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) এই বিষয়টির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেয়। আমার দিক থেকে সমস্ত কিছু আমি থানায় জানিয়েছি। থানার তরফে এবিষয়ে আমাকে সহযোগিতা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষীর বিরুদ্ধে।"
ইন্ডিয়ান স্কুল অফ ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের (Indian school of Ethical Hacking - ISOEH) কর্নধার সন্দীপ সেনগুপ্ত নিউজ ১৮ লোকালকে (News 18 Local) বলেন, "একশ্রেণীর অসাধু মানুষ সবসময়ই এই ব্রিজিং (bridging) করার চেষ্টা করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। আমি সবসময় সকল সাধারণকে পরামর্শ দিয়ে থাকি, আপনারা ফেসবুক (Facebook), ইনস্টাগ্রাম (Instagram) জাতীয় সোশ্যাল হ্যান্ডেলগুলিতে (social handle) দ্বি-স্তরীয় সুরক্ষা (Two step verification) চালু (enable) করে রাখুন। এতে সকলের সোশ্যাল হ্যান্ডেলগুলি (social handle) যথেষ্ট পরিমাণে সুরক্ষিত (secure) হয়ে যাবে।"
সন্দীপবাবু আরও বলেন, "আমরা সাধারন মানুষরা নানান ভাবে সচেতন হলেও, নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডেলগুলি (social handle) নিয়ে খুব একটা সচেতন নই। ইন্টারনেটের (internet) এই যুগে আমাদের আরও সজাগ ও সচেতন হতে হবে।"
Vaskar Chakraborty