জন্মাষ্টমীতে আজও মহা ধূমধামের সঙ্গে জলপাইগুড়ি রাজপরিবার গোপালের সঙ্গে বৈকুন্ঠনাথেরও পুজো করে। সেই সঙ্গে পালিত হয় দধিকাদো উৎসব। প্রায় পাঁচ শতাব্দী পুরনো এই উৎসবের রীতি। এইদিন রাজপরিবারের ঠাকুর দালানের পাশের জমিতে ছোট জলাশয় মত খনন করে তাতে দই ঢেলে দেওয়া হয়। সেই দই-কাদার উপর কিশোররা হুটোপুটি করে। এটা নন্দ উৎসবের অতি প্রাচীন রীতি।
advertisement
আরও পড়ুন: লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদে এবার বিক্ষোভ
রাজপরিবারের রীতি অনুযায়ী দধিকাদো উৎসবের কাদা তুলে রেখে দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতেই দেবী দুর্গার কাঠামো পুজো হয়েছে রাজপরিবারের ঠাকুর দালানে। দেবী দুর্গার মূর্তিতে কাদা লেপার সময় প্রথমে দধিকাদো উৎসবের তুলে রাখা মাটি লাগানো হয়। এটা জলপাইগুড়ি রাজপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ঐতিহ্য।
এবারেও ধুমধাম করে জেলায় পালিত হয়েছে দধিকাদো উৎসব। ছেলেদের দই মেশানো কাদামাটি সারা শরীরে মাখা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই এই সময় ঘুরতে আসেন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপেটিয়া গ্রামের ভূমিপুত্র কৃষ্ণ দাসের পৈতৃক ভিটে বাড়িতে আয়োজিত হল দধিকাদো উৎসব। এই উৎসব প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্য প্রণেতা দাস বলেন, আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য থেকে ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছি। আমাদের বাড়িতে প্রতিবছর জন্মাষ্টমীর পুজো হয়। গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দধিকাদো খেলা আবার নতুন করে আয়োজন করেছি। একটাই উদ্দেশ্য, নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের গর্বের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা।
সুরজিৎ দে