মৃতার পরিবারের সদস্যরা জানান, কিছুদিন আগে পরীক্ষার সময় তাকে নকল করার সন্দেহে অভিভাবকদের ডেকে পাঠিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই সম্মানহানির জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে সে। ঘটনার পর ছাত্রী বারবার বলছিল, "স্কুলে আমি নকল করিনি"। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ।
আরও পড়ুন: নিকাশি উন্নত করতে গিয়ে বিপত্তি, একের পর এক ব্যক্তি পড়ে যাচ্ছেন হাইড্রেনে! নদিয়ায় চাঞ্চল্য
advertisement
পরিবারের দাবি, স্কুলের এক বান্ধবী ও শিক্ষকের অবিবেচিত মন্তব্যের কারণে প্রাণ গেল ১৪ বছরের কিশোরীর। গতকাল রাতে আত্মহত্যার আগে চিঠিতে লিখে রেখে যায় সে। সেখানে লেখা রয়েছে, "আমার মৃত্যুর কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং আমার প্রিয় বান্ধবী। ওই বান্ধবী নিজের স্বার্থে আমার জীবনটাকে শেষ করে দিল। এখন আর কী ভাবে মুখ দেখাব স্কুলে। তাই এই জীবন রাখার চেয়ে না রাখাই ভাল।"
আরও পড়ুন: আবারও পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু, হুগলিতে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত সাইকেল আরোহী
পুলিশ সূত্রে খবর, এমনই কথা চিঠিতে লিখে রেখে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মঘাতী হয় সে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকা জুড়ে। স্কুল কতৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পরিবার ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার দ্বারস্থ হয়েছে সুবিচার পাওয়ার আশায়৷
সুরজিৎ দে