জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসা এই ময়ূরের দলকে চোরাশিকারিদের হাত থেকে বাঁচাতে সবসময় তৎপর রয়েছেন এলাকার শ্রমিকরা। তাঁদের বাগানে বিশেষ করে জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করার জন্য পশুপাখিদের তেমন কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানের বুক চিরে বয়ে চলেছে রুকরুকা নদী। পশুপাখিরা এই নদীতে নেমেই জলপান করে। একইভাবে বাগানের মাঝ বরাবার রয়েছে রেল লাইন। এক হাজার হেক্টরেরও বেশি এই চা বাগানে প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস। এই বাগানের প্রত্যেকেই ময়ূরদের খুব ভালবাসে। দেবতার বাহন বলে এই পাখিদের আপন করে নিয়েছেন সকলে। বর্ষা শেষে বাগানের সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যায়। দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষই তখন ময়ূরের ঝাঁক দেখতে আসেন এখানে। এছাড়া প্রতি রবিবার ও ছুটির দিনগুলোতে জলপাইগুড়ি শহর থেকে অনেকেই ছুটি কাটাতে চলে আসেন ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানে।
advertisement
জলপাইগুড়ি ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানের জেনারেল ম্যানেজার জীবন পান্ডে বলেন, চা বাগানে ছড়িয়ে পড়েছে ময়ূরের আনাগোনা।সবুজ চা বলয়ের উপরে ডানা মেলে বসে থাকে বিভিন্ন রকমের ছোট বড় ময়ূর। আর সেই চোখ জোড়ানো দৃশ্য দেখতে শহর থেকে বহু মানুষ আসেন এই চা বাগানে। এখন জলপাইগুড়ি ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান, পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ভাল লাগছে। চা বাগানে ময়ূর দেখভালের জন্য আমরা আলাদা করে চৌকিদার মোতায়েন করেছি। তারা শুধু ময়ূর এবং ময়ূরের ডিম দেখভাল করে। অন্যদিকে, ঝকঝকে আকাশের মধ্যে উঁকি মারছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, সেই অপরূপ দৃশ্য দেখার আগ্রহে মানুষের ঢল নামে সেখানে।
সুরজিৎ দে