কিষাণ রেল চালু হওয়ায় ভারতীয় রেলকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি চেম্বার অফ কমার্সের (Jalpaiguri Chamber of Commerce) সম্পাদক অভ্র বোস। তবে তাঁদের দাবি, শুধু আগরতলা নয়, দিল্লি, রাজস্থান ও হরিয়ানাতেও যাতে এই অঞ্চলের উৎপাদিত ফসল পাঠাতে পারেন কৃষকরা তার জন্য আরও কয়েকটি কিষাণ রেল চালু করা দরকার।
প্রায়ই দেখা যায়, জমির উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল রাস্তায় ফেলে যান কৃষকরা। অতিরিক্ত ফলন হলেই প্রতিবছর এই সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যায় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের কৃষকদের। এরফলে ব্যপক ক্ষতির মূখে পড়তে হয় এই অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষককে। এবার সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান করল ভারতীয় রেল(Jalpaiguri-Agartala Kishan Rail)।
advertisement
জলপাইগুড়ি কোচবিহার জেলায় প্রচুর পরিমানে আবাদ হয় আলু, কাঁচালঙ্কা, টমেটো সহ অন্যান্য শাক সবজি। ক্রেতার অভাবে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে রাস্তায় তাদের উৎপাদিত ফসল ফেলে দিতে বাধ্য হয় কৃষকরা। কৃষকদের এই সমস্যা সমাধান করতে জলপাইগুড়ি চেম্বার অফ কমার্সের তরফে স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে ভারতীয় রেলের(Jalpaiguri-Agartala Kishan Rail) কাছে আবেদন করা হয়েছিল যাতে জলপাইগুড়ি থেকে ভিন রাজ্যে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ রেল চালু করা। এই ব্যবসায়িক সংগঠনের আবেদনে সারা দিয়ে কৃষকদের উৎপাদিত পন্য ভিন রাজ্যে পাঠানোর জন্য চালু করল বিশেষ কিষান রেল। রবিবার এই কিষান রেল যাত্রা শুরু করল জলপাইগুড়ি থেকে। এই বিশেষ ট্রেনের সুচনা করলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়।
জানা গিয়েছে, এই ট্রেনে রয়েছে ১৮ টি পার্সেল বগি। প্রতিটি বগিতে পণ্য পরিবহণ করা যাবে মোট ২৪ টন। এর ফলে কৃষকরা এই ট্রেনে তাদের ফসল পাঠাতে পারবে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে। তাঁদের কৃষিজাত পরিবহনে মোট ভাড়া থেকে ৫০% ছাড় পাবেন কৃষকরা। এই ৫০% টাকা ভরতুকি দেবে কেন্দ্রীয় কৃষি দপ্তর। এরফলে অনেকটাই লাভবান হবেন উত্তরবঙ্গের কৃষকরা। এর পাশাপাশি লাভবান হবেন লোডিং আনলোডিং এর সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। এই কথা জানান জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়।
স্থানীয় এক কৃষক শ্যামল রায় জানান, অতিরিক্ত ফসল ফললেই ন্যায্যমূল্য না পেয়ে রাস্তায় ফেলে দিতে হত তাঁদের কৃষিজাত পণ্য। এবার কিষাণ রেল চালু হওয়ায় তাদের উৎপাদিত ফসল খুব কম খরচে পাঠাতে পারবেন ভিনরাজ্যে। ফলে তাঁরা অনেক বেশি লাভের মুখ দেখবেন।
এই বিষয়ে কাঠিহার ডিভিশনের ডিভিশনাল অফিসার (এডিআরএম) ডিএম ঠাকুর জানান, আপাতত জলপাইগুড়ি আগরতলার মধ্যে কিষাণ রেল চালু হল কৃষকদের স্বার্থেই। পরবর্তীতে যদি দেশের অন্যপ্রান্তে পাঠানোর আবেদন পান কৃষকদের থেকে তবে সেক্ষেত্রেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে ভারতীয় রেল।
Vaskar Chakraborty