ময়নাগুড়ি উত্তরা ভুষকা ডাঙা এলাকায় বাড়ি নিতাই কর্মকারের। তাঁরা ছোট মেয়ে বছর ২২ এর বাসন্তী কর্মকার রবিবার সন্ধ্যে হঠাৎই গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। সোমবার বিয়ের আশীর্বাদ হওয়ার কথা ছিল ওই তরুণীর। ফালাকাটার পাঁচ মাইল এলাকায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আশীর্বাদের আগের সন্ধেতে সে এই চরম পথ বেছে নেওয়ায় উৎসবের বদলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বাড়িজুড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই উচ্চমাধ্যমিক শুরু, আগের দিন উদ্ধার পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ
পরিবারের দাবি, সোমবার মেয়ের আশীর্বাদের অনুষ্ঠান বলে রবিবার বাড়ির সকলেই নানান কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগেই সন্ধেতে নিজের ঘরে ঢুকে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় বাসন্তী। মা সুমিত্রা কর্মকার প্রথম জানালার ফাঁক দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি ভয়ে চিৎকার করে উঠলে বাড়ির বাকি সদস্যরা এবং প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা ওই তরুণীর দেহ নামিয়ে তড়িঘড়ি ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত তরুণীর দাদা জীবন কর্মকার বলেন, বোনের ইচ্ছেতেই ফালাকাটার পাঁচ মাইলে তার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু আশির্বাদের আগে বোন কেন এরকম করল তা বুঝে উঠতে পারছি না। ওই তরুণীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
সুরজিৎ দে






