আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে এখানে গোপাল বুড়ি নামে এক বৃদ্ধা পুজো করতেন। জানা যায়, তাঁর মৃত্যুর পর একটি অন্য ধর্মীয় সংগঠন এই মন্দিরের খেয়াল রাখে কিছুদিন। তারপর থেকে যতীন্দ্র নাথ বাবুই এখানে এই মন্দির ও একটি বিগ্ৰহ রক্ষা করে নৃসিংহ-এর পুজো করে আসছেন। মন্দিরের পাশেই রাত হলে কিছু নেশাগ্রস্ত ছেলেরা আস্তানা গাড়ে। অসামাজিক নানা কাজ কর্ম চলে এই মন্দির এলাকায়। তবুও অতি কষ্টের মধ্যে দিয়ে এখানে নৃসিংহ-এর পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন সেবায়েত যতীন্দ্র নাথ দাস।
advertisement
আরও পড়ুন- জেলায় ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত! আক্রান্ত রুখতে কী পদক্ষেপ নিল প্রশাসন?
তাঁর কথায়, "ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই হাজার সমস্যাতেও নিত্য পুজো চলছে। সরকার একটু দৃষ্টিপাত করলে এই বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।" তিনি ভগ্নপ্রায় মন্দিরের সংস্কারের দাবিও রাখেন সরকারের কাছে।
আরও পড়ুন- নাগরিক জীবনের বিষবাষ্পে, জলপাইগুড়ির 'টেমস' করোলা আজ যেন ম্রিয়মাণ ডোবা!
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই মন্দিরে বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই এখন পুজোর জিনিস রোজ নিয়ে আসেন, আবার পুজো সেরে নিয়ে যান যতীন্দ্রনাথ বাবু। তাঁর মতে এলাকায় পুলিশি টহল থাকলে ভালো হয়।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, "সরকারিভাবে এই মন্দির সংস্কারে তেমন কোনো অ্যালোটমেন্ট নেই। তবে সামাজিকভাবে মন্দিরটি রক্ষা করতে অবশ্যই চেষ্টা করব।" এলাকায় দুষ্কৃতী তান্ডবের কথা মেনে নিয়ে কাউন্সিলর বলেন, "পুলিশ সুপারের সাথে কথা হয়েছে। বিষয়টি দেখছি।"
Geetasree Mukherjee