এরপরই মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য এবং পরবর্তী কর্মসূচীর জন্য চলে আসেন ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমোহনী বাজারে। এখানেই তিনি সারলেন দুপুরের আহার। দোমোহনী পুরানো বাজার লাগোয়া বাণীনগরের বাসিন্দা স্বপন রাহুত ও রাজু রাহুতের এই বাড়িতে নবজোয়ার-কর্মসূচির অন্তর্গত জনসংযোগ যাত্রায় এসে এদিন মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে ধূপগুড়িতে জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে আগাম কোনও কর্মসূচি ছাড়াই, দোমোহনী পুরান বাজারে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘুরে দেখেন দোমোহানী বাজার। সেই বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওই হাটের সংস্কারের দাবি পেয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতিকে হাটের সংস্কারের নির্দেশ দেন। প্রায় আশি লক্ষ টাকা ব্যয়ে বর্তমানে দোমোহনী হাট ঝাঁ চকচকে।
সেদিন হাজারও ভিড়ে অভিষেককে এক ঝলক চোখের দেখা দেখেছিলেন স্থানীয় রাহুত পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তাঁরা একথা স্বপ্নেও ভাবেননি যে মাস কয়েক পরেই তাদের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারবেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তবে এই না দেখা স্বপ্নই সত্যি হল রাহুত পরিবারের। এই দোমহনি হাট পরিদর্শনে এসেই রাহুত পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজ সারলেন অভিষেক।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই কর্মসূচি চূড়ান্ত হতেই দফায় দফায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা তাঁদের বাড়ি ঘুরে গিয়েছেন একাধিক বার। প্রশাসন দলের নেতারা তো নিজেদের কাজ করছেন, কিন্তু মধ্যবিত্ত ছোট ব্যবসায়ী স্বপন রাহুত ও তার ভাই রাজু রাহুত ভেবে পাচ্ছিলেন না কী দিয়ে আপ্যায়ন করবেন অভিষেকের মতো হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্বকে। স্বপন বাবু ও রাজু বাবুর একান্নবর্তী পরিবার তাঁদের স্ত্রী জয়া রাহুত ও রুমা রাহুত হেঁশেল সামলান।
আরও পড়ুন, বাড়িতে পিঁপড়ের সমস্যায় নাজেহাল? রান্নাঘরের এই জিনিসই করে দেবে সমাধান, জেনে নিন
আরও পড়ুন, 'এটা তো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কে চক্রান্ত করছে!' কী ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক
তাঁরা জানান, যা গরম পড়েছে তাতে হালকা খাবার তৈরি করার কথাই ভেবেছিলেন। সেই অনুযায়ী কলা পাতায় ডাল, একটি নিরামিষ সবজি, ভাজা আর পাশেই বয়ে চলা তিস্তা নদীর বোরালি মাছের ঝোল দিয়ে আপ্যায়ন সারেন। উল্লেখ্য, এক সময় রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু যখন জলপাইগুড়ি বা ডুয়ার্সে আসতেন তখনও খোঁজ পড়তো তিস্তার এই বোরোলী মাছের।
সুরজিৎ দে