একই অবস্থা রাতেও। বাড়ির প্রতিটি লোক গভীরভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আর সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা বাড়ির পাশে ঢুকে নগদ কিছু অর্থ সহ সোনাদানা নিয়ে চম্পট দেয়। মঙ্গলবার দিনও একই রকম ভাবে তারা আচ্ছন্নই হয়ে থাকেন।এদিন আশেপাশের লোকজন বাড়িতে এসে দেখেন বাড়ির সবাই অচৈতন্য হয়ে রয়েছেন। এর পর ঘরে ঢুকে দেখেন যে সমস্ত কিছু লন্ডভন্ড। যেখানে সেখানে জিনিস, দুষ্কৃতীরা তান্ডবের চিহ্ন। ঘরের আলমারি ভাঙা। অথচ, সকালেও বাড়ির সকল সদস্যদের অচৈতন্য অবস্থায়।খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যে সোমবার বিকেল থেকে বাড়ির সদস্যদের এমন অবস্থা কি করে হল? তারা কি কোনো ঘোরে ছিলেন? বাড়ির ছোট থেকে বড় কেউ একবারের জন্য কিছু টের পেলেন না? এমনকি যখন বাড়িসুদ্ধু তান্ডব চলল, তখন একজন ব্যক্তি ও কোনো আওয়াজ পেলেন না?
advertisement
শুধু কি তাই? আজ বেলা গড়িয়ে গেলেও আচ্ছন্নতা কাটেনি এতগুলি লোকের। তাদের আশেপাশের প্রতিবেশীরা বলেন, এত বেলা হলেও বাড়ির কারো কোনো সাড়া ছিল না। আমরা সেটা দেখে একটু অবাক হই। গ্রীল ধরে নাম ধরে ডাকাডাকি করলেও তেমন একটা সাড়া পাই না। একটু সন্দেহ হয়। পরে গিয়ে দেখি সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে আছে। এদিকে এরা ঘুমিয়ে আছে।
আরও পড়ুনঃ ক্ষতবিক্ষত পাইথন উদ্ধার, আঘাত ঘিরে চিন্তায় বনদফতর
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, এমন ধরনের চুরি আজ পর্যন্ত আমাদের এলাকায় ঘটেনি। অভিনব কায়দায় চুরি হয়েছে। যথেষ্ট রহস্য আছে এর ভেতর। অপর এক প্রতিবেশী বলেন, এই বাড়িতে একসঙ্গে এতগুলি মানুষ থাকেন। অথচ, তারা কিচ্ছু টের পাননি। বাড়িতে রাখা যাবতীয় জিনিস লোপাট করর নিয়ে গেছে চোরের দল। ঘুমের ওষুধ হয় কোনো খাবারে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, অথবা কোনো ভাবে স্প্রে করে দেওয়া হয়েছে সকলের অলক্ষ্যে৷ না হলে সবাই এভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন না।
আরও পড়ুনঃ শতবর্ষ প্রাচীন ময়দানে প্রাচীর! মানতে রাজী নন স্থানীয়রা
ধূপগুড়ির মত একটি জায়গায় এমন একটি ঘটনায় তাজ্জব প্রশাসন ও। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। বাড়ির সদস্যরা আচ্ছন্ন থাকায় সঠিক অর্থমূল্য না জানা গেলেও সব মিলিয়ে আনুমানিক প্রায় পাঁচ লাখ টাকার জিনিস চুরি হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ওই বাড়ির মালিকের গলার সোনার চেন অচৈতন্য অবস্থায় চুরি হয়েছে। গৃহবধূর সমস্ত গয়না লোপাট বলে জানা গিয়েছে। এদিন বেলা অবদি এই ঘটনায় প্রচুর মানুষ ভীড় করেন এলাকায়। কিন্তু বাড়ির কেউ ই তেমনভাবে কথা বলতে পারছেন না। তাদের মধ্যে একজন জানান, শরীরটা খারাপ লাগছে। ভীষণ দুর্বল লাগছে।তাদের এদিন ধূপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। জানা গেছে ধূপগুড়ির গ্রামীণ হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন।
Geetashree Mukherjee