২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামপন্থীদের যে অবস্থান। তার থেকে অনেকটাই বেশি প্রস্তুত এবার। জানাচ্ছে সিপিআইএম কর্মী সমর্থক। তাদের কথায়, বর্তমানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দুর্নীতি ও জোর জুলুমের মধ্য দিয়ে রাজ্যের অবস্থা বেহাল। তাদের কথায় সেই বেহাল দশা থেকে রাজ্যকে মুক্ত করতে। প্রয়োজন লাল শক্তির উত্থান। রাজ্যবাসীর কাছে সেই বার্তা দিতে। হাওড়া দেউলপুর গ্রামে দেওয়ালে স্লোগান ” ফেরাতে হাল, ফিরছে লাল”।
advertisement
আরও পড়ুন: হুইল চেয়ারে চেপেই মনোনয়ন পত্র জমা বিশেষভাবে সক্ষম পার্থর! ভোট লড়বেন বিজেপির হয়ে!
এই লড়াইয়ে যুবক বৃদ্ধ সকলের মিলেমিশে একাকার। দেউলপুরে দেখা গেল, ৭১ বছর বয়সি কাশীনাথ বর ‘ কে।এই বয়সে কাঁপা কাঁপা হাতেই দেওয়াল লিখতে ব্যস্ত তিনি। দলীয় যুব কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পথে নেমেছে। শুরু হয়েছে জোড় প্রস্তুতি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, কাশীনাথ বাবু গ্রাম সংসদে চারবার জন প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছাত্র অবস্থা থেকে রাজনীতিতে যোগ তার। নাট্য শিল্পী হিসেবেও সে সময় বেশ সুপরিচিত। রাজ্যে তখন ক্ষমতায় জাতীয় কংগ্রেস। সেই থেকে লড়াই শুরু করেছিলেন কাশীনাথ বর। তাঁর সেই লড়াই জারি রয়েছে এ সময়েও। ২০২৩ সালে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যুব কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলীয় কাজে ব্যস্ত তিনি। এ বয়সেও সমান তালে দেওয়াল লেখার দায়িত্ব কাশীনাথের।
আরও পড়ুন:
বামপন্থী যুব নেতা সুব্রত পাত্র জানা, গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামে দলীয় কাজের দেওয়াল লিখতে সারা বছর ব্যস্ত থাকে মামা। কাশীনাথ বর সম্পর্কে যুব নেতার সুব্রতর মামা। সে জানায়, টাকা খরচ করতে হয় না দলকে। দলের প্রবীণ কর্মী কাশীনাথ বাবু নিজে হাতে সেই দায়িত্ব সামাল দেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তিনিই আমাদের মত যুব দের সঙ্গে দেওয়াল লেখা থেকে প্রচারে রয়েছেন।এ প্রসঙ্গে কাশীনাথ বাবু জানান, বর্তমান রাজ্যে এবং দেশে যে অবস্থা তার পরিবর্তন দরকার। সেই বার্তা মানুষকে দিতেই। ” ফেরাতে হাল, ফিরছে লাল ” এই স্লোগানে শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন। হাল ফেরাতে প্রয়োজন বাম শক্তির উত্থান। তাই যুব কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে আমরা।
রাকেশ মাইতি