ভিডিও দেখে এবং কিছু মানুষ কানে শুনে নিরীহ এই প্রাণীকে অচেনা প্রাণী বা চিতাবাঘ ভেবে আতঙ্কে রয়েছেন। যদিও ওই গ্রামের বেশ কিছু প্রবীণ মানুষ বাঘরোল সম্পর্কে অবগত। আতঙ্ক বা ধোঁয়াশা ভাব তারাই কিছুটা কাটিয়ে দেয় গ্রামে। তাতে কিছুটা আতঙ্ক মুক্ত হয় এলাকায়। তবে যাতে করে পরিবেশ এবং এই নিরীহ রাজ্য প্রাণীর কোনও ক্ষতি না হয়।
advertisement
আরও পড়ুন:
সেই দিক গুরুত্ব রেখে হাওড়া ‘ জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের মাজু ইউনিট এবং স্থানীয় ব্রাহ্মণপাড়া হাইস্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক মহাশয়ের উপস্থিতিতে একটি সচেতনতার শিবির ও লিফলেট বিলি চলে। পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে এ বিষয়ে জানান দেওয়া হয়। আসলে যে প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে সেটি মানুষের কোন রকম ক্ষতি করতে পারে না। ফলে এর দ্বারা কোনও আতঙ্ক হবার কারণ নেই।
আরও পড়ুন: দেশের ক্ষুদ্রতম রেলপথ কোনটি জানেন? ভাড়া শুনলে চমকে যাবেন!
এই সচেতন মূলক কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র দাস। তিনি স্থানীয় মানুষকে মাইকিং করে অবগত করেন। এ বিষয়ে জানান, স্থানীয় বেশকিছু মানুষ এ বিষয়ে সচেতন। গ্রামে অনেকেই রয়েছেন যারা রাজ্য প্রাণী বাঘরোল চেনেন। তারাই এলাকায় আতঙ্ক অনেকটাই কাটিয়ে তুলেছেন। হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্য সৌরভ দত্ত জানান, গত কয়েকদিন আগে রাজ্য প্রাণীকে দেখে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। তারা যাতে রাজ্য প্রাণীর ক্ষতি না করে। সেদিকে গুরুত্ব রেখেই এই সচেতন কর্মসূচি। তিনি আরও জানান এই বাঘরোল একসময় জেলার বাদা অঞ্চল জুড়ে ছিল। বর্তমানে বাসস্থান হারিয়ে সমস্যা পড়ছে এরা।
রাকেশ মাইতি