পুজোর আগের দিন অনুষ্ঠিত হয় স্নানযাত্রা বা মুক্তস্নান এই স্নান মূলত ধর্মরাজ কে নিয়ে যাওয়া হয় স্নানে। সন্ন্যাসীদের সাতটি করে তলোয়ারকেও স্নান করানো হয়। স্নান পুকুরের জল এলাকার মানুষ সংগ্রহ করে রাখত প্রবৃত্ত জল হিসেবে। স্থানীয়দের কথায় জানা যায়,এক কালে কঠিন কঠিন রোগ নিরাময় হত এই জলে। সেই বিশ্বাস আজও মানুষের মধ্যে। তাই ওই দিন দেখা যায় বিভিন্ন পাত্রে জল সংগ্রহ করতে মানুষকে। দুইদিন শুকনো নির্জলা উপবাস করে সন্ন্যাসীদের শালেভর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ যন্ত্রণার অবসান! দূষণমুক্ত হবে গ্রাম
পাশাপাশি ঝুলঝাপ,বেত খেলা, ধারালো বঁটির উপর ঝাপসহ নানান রীতি আজও প্রচলিত। পূজোর দিন ভোর থেকে শুরু হয় পূজা অর্চনা ও ঝাঁপ। সারা দিন ধরে পূজার্চনা বিভিন্ন রীতি এবং মাটির তৈরি কুমির পুজো। রীতি মেনে পুজোর দিন বিকালে ঘটির উপর ফুল দিয়ে মন্ত্র পাঠ, যতক্ষণ সেই ঘটির মাথায় রাখা ফুল নিচে না পরছে ততক্ষণ চলবে মন্ত্র পাঠ। চলিত ভাষায় যেটাকে বলা হয় ফুল কাছড়ানো। ফুল কাছরানো সম্পূর্ণ হলে শুরু হবে শালেভর। শালে তলোয়ারের উপর সন্ন্যাসী জোড় হাত করে দেবতার নাম নিতে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ মাইক্রো ছবি! তাও আবার ট্যাবলেটের উপর! অবাক কান্ড সৈকতের
নাম নিতে নিতে শাল দেবতার মন্দির প্রদক্ষিণ। কম পক্ষে ৩ পাক প্রদক্ষিণ করতে হয়ে নিয়ম মেনে বা তার চেয়ে বেশি। গঙ্গাধরপুর গোন্ডলপাড়া দুটি গ্রামের মিলিত এই ধর্মরাজ পুজোতে প্রতিবছর ১২-১৫ থেকে ৩০ জন পর্যন্ত সন্ন্যাসী হয় গ্রামের মানুষ। শাল শেষে অনুষ্ঠিত হয় আবার ঝাঁপ, মূল সন্ন্যাসীকে ধারালো বঁটির উপর ঝাঁপ দিতে দেখা যায়। প্রায় মাঝ রাত পর্যন্ত চলে পূজার্চনা পরদিন নই হাড়ি বা ঘট ডুবিয়ে গাজন উৎসবের সমাপ্তি হয়।
RAKEAH MAITY