অন্যদিকে আশ্রমের মধ্যে অন্যান্য মন্দিরেও রীতিনীতি মেনে চলে নিত্য পুজো। কালী পুজোর দিন বিশেষ পুজো অনুষ্ঠান চলে মধ্যরাত পর্যন্ত, প্রতি বছরের রীতি মেনে এ বছরও অনুষ্ঠিত হবে পুজো। উদং কালিমাতা আশ্রম সকাল আটটায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তা দুপুর বারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে পাশাপাশি প্রতিদিন বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে। অন্যদিকে আশ্রমের মধ্যে অবস্থিত দেবী কালী মন্দিরের সামনে রয়েছে নাট মন্দির, ঠিক তার সামনে হরিতকী গাছ, সেই গাছে ফল ধরে রয়েছে, ওই গাছ দেখলে বোঝাই যায় বহু পুরনো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শুরু হয়েছিল শিশুদের হাত ধরে, সেই কালীপুজোয় এখন থিমের ছোঁয়া!
আশ্রমের প্রাকৃতিক পরিবেশ সৌন্দর্য নজর কারে আশ্রমে আসা সাধারণ মানুষ জন ও ভক্তদের, শুধু তাই নয় আশ্রমের মধ্যে প্রবেশ করলে নির্জন পরিবেশে শোনা যাবে প্রকৃতির খোলা আকাশের নিচে উড়ে বেরানো পাখির কলরব, সেই সঙ্গে আশ্রমের খাঁচায় অসংখ্য পাখি, তার পাশাপাশি আশ্রমের পক্ষ থেকে কাঁচের ঘরে পোশা রয়েছে রঙিন নানা ধরনের মাছ যা নজর কাড়ছে আশ্রমে আসা সাধারণ মানুষ থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদেরও। বিশেষ বিশেষ সময় প্রায় সারা বছর জুড়ে আশ্রমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ বন্যপ্রাণ সচেতনতায় অভিনব উদ্যোগ! পশুপাখিদের দত্তক নেওয়ার সুযোগ
তবে বাৎসরিক অনুষ্ঠান প্রতিবছর শিবরাত্রির দিন চলে, শিবরাত্রি পরের দিন অমাবস্যায় অনুষ্ঠিত হয় দেবীর বাৎসরিক পুজো। আর ঠিক তার পরের দিনই আশ্রমে অনুষ্ঠিত হয় অন্নকোট উৎসব। সারা বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উৎসবে অংশগ্রহণ করে এলাকার সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে প্রতিবছরই শীতকালীন সময় যেমন মানুষের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায়, সেই সঙ্গে বিশেষ দিন যেমন সরস্বতী পুজো বা অন্যান্য বিশেষ দিনে আশ্রম চত্বরে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। মূলত আশ্রমের যে মনোরম পরিবেশ সেই মনোরম পরিবেশের টানে ছুটে আসেন দূর দূরান্তের মানুষ।
Rakesh Maity