বাংলা তথা ভারতের অন্যতম বড় পোশাকের বাজার হাওড়ার মঙ্গলা হাট। বহু যুগ ধরে প্রতি মঙ্গলবার এই হাট বসে। সেখানে দূরদূরান্ত থেকে, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও বহু ব্যবসায়ী আসেন। এখান থেকে পোশাক কিনে নিয়ে গিয়ে দোকানে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। বিদেশেও মঙ্গলা হাটের পরিচিতি আছে। সম্প্রতি মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাওড়া শহরের যানজট এড়াতে মঙ্গলা হাট এর দিন পরিবর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। মঙ্গলবারের পরিবর্তে তা শনি ও রবিবার করার ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে। কিন্তু যুগের পর যুগ ধরে এই হাট মঙ্গলবার বসে আসছে। তাই হঠাৎ তার দিন পরিবর্তন হলে হাজার হাজার ব্যবসায়ী যে বিপাকে পড়বেন তা সহজেই অনুমান করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরোয় ভয়ঙ্কর সর্বনাশ! পুড়ে ছাই হয়ে গেল বস্তির একের পর এক ঘর
পোশাক ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, মঙ্গলা হাট বাংলার সবচেয়ে বড় পোশাক বাজার হলেও শুধু সেখান থেকে পোশাক কিনে এনে ব্যবসা চলে না। মেটিয়াবুরুজ সহ কলকাতা এবং সংলগ্ন অন্য বেশ কয়েকটি হাটেও তাঁদের যেতে হয়। আর এই হাটগুলো সাধারণত রবিবার করে বসে। ফলে মঙ্গলা হাটও যদি রবিবার বসে তখন ব্যবসার জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে বিপাকে পড়বেন তাঁরা। এমনই আশঙ্কার কথা শোনা গেল শান্তিপুরের পোশাক ব্যবসায়ীদের গলায়।
নদিয়ার চাকদহ, রানাঘাট, শান্তিপুর, নবদ্বীপ, ফুলিয়া, কোচবিহার এবং দিনাজপুরের বেশ কয়েকটি এলাকা, পূর্ব বর্ধমানের ধনেখালি, সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বংশানুক্রমে মঙ্গলা হাটে নিজেদের তৈরি পোশাক বিক্রি করতে আসেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সেই হাটের দিন বদলে গেলে ব্যবসায়ীদের যে সমূহ বিপদে পড়তে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই অবস্থায় শান্তিপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ঠিক করেছেন, প্রয়োজনে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে মঙ্গলা হাটের দিন পরিবর্তনের বিরোধিতা করবেন। পাশাপাশি মঙ্গলা হাটে বসার খরচ আগের থেকে অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান শান্তিপুরের ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনা হবে বলে তাঁরা জানান।