আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের হারিয়ে যাওয়া কল মিস্ত্রিকে বাড়ি ফিরিয়ে দিল হ্যাম রেডিও
চলতি বছর দক্ষিণবঙ্গে উষ্ণতার পারদ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী দিনে উষ্ণতা আরও বাড়বে। এই কথা জেনে এখন থেকেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে সচেতন মানুষের। কিন্তু বেশিরভাগজনই পরিবেশের পরিবর্তন সংক্রান্ত বিপদ নিয়ে ওয়াকিবহাল না হওয়ায় বৃক্ষ নিধন থামানো যাচ্ছে না।
advertisement
অথচ বিশেষজ্ঞরা বারবার বলে আসছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গাছ একান্ত প্রয়োজনীয়। যাই কাজ করুন না কেন গাছকে বাঁচিয়ে করতে হবে। কিন্তু সেই কথা অনেকেরই কানে গিয়ে প্রবেশ করলেও মস্তিষ্কে পৌঁছাচ্ছে না। ফলে পরিবেশের উষ্ণতা যেমন বাড়ছে তেমনই নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র্য। এই প্রসঙ্গে হাওড়ার পরিবেশকর্মী সৌরভ দত্ত বলেন, পরিবেশ সম্পর্কে অনবরত মানুষকে সচেতন করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই দিক থেকে হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্যরা সদা নিয়োজিত। সাধারণ মানুষকে গাছের এবং বন্য প্রাণীর গুরুত্ব বোঝাতে নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সচেতনতার মাত্রা বাড়লেও অনেক সময়ই কাজের কাজ যে হচ্ছে না তা এই পরিবেশকর্মীর কথা থেকেই পরিষ্কার। জানান অনেক সময় এলাকায় প্রাচীন গাছ কাটার খবর পেয়ে তাঁরা পৌঁছে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মানুষের রোষের মুখে পড়তে হয়।
ক্রমাগত গাছ কাটার ফলে পথ চলতি মানুষ কিংবা মাঠের কৃষক, সকলেই শীতল ছায়া আর পাচ্ছে না। পাখিরা হারিয়ে ফেলছে তাদের আশ্রয়। বৃক্ষ নিধন ঠেকাতে সরকারের কড়া আইন থাকলেও তা যথাযথ প্রয়োগ না হওয়াতেই এই দুরবস্থা বলে মনে করছেন পরিবেশ প্রেমীরা।
রাকেশ মাইতি