এই মুহূর্তে গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। সময় হয়ে গেলেও বর্ষার দেখা নেই। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তাপমাত্রা ও আদ্রতা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যাওয়ায় সারাক্ষণ ঘাম হচ্ছে মানুষের। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়ে উঠেছে যে বাড়ির মধ্যে থেকেও স্বস্তি মিলছে না। এই অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে হাল অবস্থা কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। বুধবার রাতে পাঁচলার মানুষ যখন একটু স্বস্তির খোঁজে বিছানায় শুতে যাবে ঠিক সেই সময় লোডশেডিং হয়ে যায়। পাঁচলা সহ গ্রামীণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, গরম পড়তেই সন্ধের পর থেকে লো ভোল্টেজের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। অনেক সময় আলো নিভে যাচ্ছে, পাখা চললেও তার হাওয়া গায়ে লাগছে না। এই অবস্থায় বুধবার রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: গাছ শূন্য বকখালিতে মন নেই পর্যটকদের
পাঁচলার গঙ্গাধরপুর, জুজারসাহা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালেও আসেনি বিদ্যুৎ সংযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধবার রাতে বারবার চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার অফিসে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন করলেও ফোন যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে জুজারাসাহা মানিক পীরতলা এলাকায় বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীরা লাইন ঠিক করতে এলে তাঁদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। এমনকি কাজ না করতে দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে। পাশাপাশি ধুলাগোড়-ফুটিকগাছি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাঁচলা থানার পুলিশ। তাদের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। শুরু হয় ইলেকট্রিক লাইন মেরামতির কাজ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরেও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা। কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ এলেও লো ভোল্টেজের জেরে পাখার হাওয়া গায়ে লাগছে না।
তবে শুধু পাঁচলা বা গ্রামীণ হাওড়া নয়, গরম পড়তেই চলতি বছর বিদ্যুৎ পরিষেবার এই বেহাল দশা প্রকট হয়ে উঠেছে। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সকলের বিরুদ্ধে ঝুরিঝুরি অভিযোগ আমজনতার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের চাহিদার থেকে বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। তা সত্ত্বেও কেন এমন বেহাল অবস্থা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মানুষ।
রাকেশ মাইতি