আরও পড়ুন: ২২’শে শ্রাবণের শুটিং স্পটে দাঁড়িয়ে ৩০০ বছরের পুজোর অংশ হন
কবি বিষ্ণু দে’র বিখ্যাত রচনা উর্বশী, সাত ভাই চম্পা, চোরাবালি, নাম রেখেছি কোমল গান্ধার, সাহিত্যের প্রগতি ইত্যাদি। এছাড়াও ‘এই জীবন’ তাঁর স্মৃতিচারণমূলক রচনা গ্রন্থ। এখানে পাঁতিহালের কথা উল্লেখ করেছেন কবি। এই গ্রামেই বিষ্ণু দে’র পূর্ব পুরুষের বসবাস ছিল। কলকাতা থেকে বন্ধুবান্ধদের সঙ্গে বহুবার এই গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। দেশীয় বন্ধুর পাশাপাশি বিদেশি বন্ধুরাও কবির সঙ্গে এই গ্রামের বাড়িতে ঘুরে যান। অর্থাৎ এই গ্রামে না থাকলেও তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বিষ্ণু দে’র।
advertisement
পাতিহাল গ্রামে কবিদের বিশাল বাড়ি। দালান যুক্ত বাড়ির সামনে বিশাল ফটক। জানা যায়, এই ফটকের পাশের ঘরে কলকাতা থেকে এসে থাকতেন কবি। কিন্তু বর্তমানে আগাছায়ায় ঢেকেছে গোটা বাড়ি, ভেঙে পড়ছে সবকিছু। তবে আজও দাঁড়িয়ে আছে বাড়ির ফটক। স্থানীয়দে দাবি, কবিকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। যাতে গ্রামের বর্তমান প্রজন্ম কবি বিষ্ণু দে’র কাজ সম্পর্কে জানতে পারে। তাঁর রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ মানুষের কাছে তুলে ধরছেন গ্রামেরই গুটি কয়েক মানুষ। কয়েক মাস আগে কবির আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে কবির পৈত্রিক ভিটেতে। কিন্তু এই বিষয়ে প্রশাসন এগিয়ে না এলে খুব কিছু করা যাবে না বলে গ্রামবাসীদের অভিমত।
রাকেশ মাইতি