জানা যায় ৩.৫ লক্ষ্য টাকা ব্যয়, প্রায় ৪০ দিনের এই প্রজেক্ট, শ্যামপুর ডিহি মন্ডল ঘাটের মিস্ত্রিপাড়ার একটি পরিবার নৌকা টি তৈরি করছে। পঞ্চানন মন্ডল দক্ষ ছোট নৌকা তৈরির কারিগর, শুধু ছুট নৌকা নয় নানা নৌকা তিনি তৈরি করেছে, পঞ্চনন বাবু ও তার ৪ ছেলেরা মিলে এই নৌকা তৈরি করছে। নৌকা তৈরীর শুরু থেকে ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে এই ক্যামেরাবন্দী বা রেকর্ডিং ইংল্যান্ডের একটি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। হারিয়ে যাওয়া এই ছোট নৌকা তৈরি পদ্ধতি চাইলে ভিডিও দেখতে পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে।
advertisement
এক সময়ে দারুণভাবে এই নৌকা জেলার জেলেদের মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হলেও এখন ব্যবহার হয় না কারণ নদীর গভীরতা কম, জলের চরিত্র এবং স্রোত অনুযায়ী নদীর গঠন হয়, সেই সব কিছুকে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নৌকা ব্যবহার হয়। হাওড়া শ্যামপুর ডিহি মন্ডলের জেলেরা এই ছোট নৌকা ব্যবহার করত কয়েক দশক আগে, যখন রূপনারায়ণ নদের গভীরতা ছিল বেশি। নদীর চরিত্র পরিবর্তন হতে থাকে, নদীতে চড়া পড়ার ফলে এই নৌকায় করে মাছ ধরে নিয়ে আসার সময় চড়ায় আটকে নৌকা কাত হয়ে যায়, ফলে জেলেদের ক্ষতি হতে শুরু করে তারপর থেকেই ধীরে ধীরে এই ছোট নৌকা ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ধুলোয় ঢাকছে গ্রাম! স্থানীয় সিমেন্ট কারখানা ঘিরে ক্ষোভ গ্রামবাসীদের
সে সময়ের দক্ষ ছোট নৌকা কারিগর পঞ্চানন মন্ডল নিজের হাতে বহু ' ছোট' নৌকা তৈরি করেছেন, তবে তার চার ছেলে এখন নৌকা তৈরীর কাজে যুক্ত থাকলেও বড় ছেলে ছোট তৈরির কাজ জানেন, বাকি তিন ছেলে জানেন না ছোট নৌকা তৈরি। প্রায় তিন দশক পরে পঞ্চানন বাবুর হাতে এমন সুযোগ, সেই সঙ্গে তার ছেলেদের কাছে ' ছোট' তৈরি শেখার সুযোগ আসে কলকাতার নৃতত্ববিদ স্বরূপ ভট্টাচার্যের হাত ধরে। পঞ্চানন বাবু কাজ করেননা, তিনি ছেলেদের দাঁড়িয়ে থেকে নৌকা কিভাবে তৈরি করতে হয় সমস্ত কিছু বলে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ আলোকসজ্জা থেকে মণ্ডপ ও প্রতিমা, নবমীর রাতে জমাটি ভিড় হাওড়ার মিনি চন্দননগরে!
সেই মতো কাজ করছেন ছেলেরা। শুরু থেকে সমস্ত কিছু ক্যামেরাবন্দি, এমন ভাবে কাজ আগে করেনি পঞ্চানন বাবু আর তার ছেলেরা। এই কাজ হাতে পেয়ে দারুণভাবে খুশি পঞ্চানন বাবুরা। তিনি বলেন দীর্ঘদিন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, এটাই সব থেকে সেরা জীবনে। ব্রিটেন ও ভারতীয় যৌথ উদ্যোগ, ব্রিটেনের এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন কি কুপার, হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বসন্ত সিন্ধে এবং কলকাতার নিতত্ত্ববিদ স্বরূপ ভট্টাচার্য, গবেষক জিসান আলী শেখ গোটা প্রকল্পের দেখভাল করছেন।
Rakesh Maity