স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক জয়িতা কুন্ডু কুন্তি জানান, আমরা শিল্প বিরোধী নই। আমরাও চাই আমাদের গ্রামে শিল্প হোক, কর্মসংস্থান হোক। কিন্তু, কখনোই যেন দূষণ না এলাকার মানুষ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে গ্রাস করে। প্রতিবাদপত্র পেয়ে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের যারা দূষণজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও মৌখিকভাবে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাইক্রো ছবি! তাও আবার ট্যাবলেটের উপর! অবাক কান্ড সৈকতের
কারখানাটির ম্যানেজার পার্থ প্রতিম মুখার্জী বলেন, আমরা দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কারখানাটির বিরুদ্ধে দূষণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ ছিল, রাতের অন্ধকারে কোনো চিমনি ছাড়াই কারখানা সেডের চারিদিক দিয়ে ঘন কালো ধোঁয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। এর জেরে মাধবপুর, কাশ্যবপুর, যশপুর, কিশোরপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
আরও পড়ুনঃ যোগ ব্যায়ামে আন্তর্জাতিক স্তরে সোনা জয় ৪ বছরের আরাধ্যার
এ সমস্যা দীর্ঘদিনের এর জেরে এলাকার মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। নষ্ট হচ্ছে গাছপালা। পাশাপাশি, কারখানার বর্জ্যঅ্যাসিড জল কোনো রকম পরিশ্রুত না করেই খালে ফেরা অভিযোগ উঠেছিল কারখানাটির বিরুদ্ধে। প্রশাসন নড়েচড়ে বসতে, কারখানা কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, দূষণ নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস। অবশেষে দীর্ঘ যন্ত্রণা থেকে মুক্ত পেতে চলেছে এলাকার মানুষ।
Rakesh Maity