জানা গিয়েছে, সে সময় বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির সদস্যরা নিজেরা ঠাকুর গড়ে নিজেরাই পুজো করতেন যদিও এখন প্রতিমা গড়েন মৃৎশিল্পীরা, তবে পুজো করেন ব্যানার্জি পরিবারের সদস্যরা। বাড়ির জ্যেষ্ঠ পুত্র যোগীন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর হাত ধরে তাদের পারিবারিক পুজোর সূচনা হয়, এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল দেবী দুর্গা থাকেন প্রায় সারা বছর। নতুন প্রতিমা গড়ার আগে পর্যন্ত থাকে পূর্বের প্রতিমা। প্রতিমা বিসর্জন হয় শ্রাবণ মাসের শেষ রবিবার অর্থাৎ রাম বিসর্জনের দিন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কলাবউ আসে পালকি চড়ে, ১৩০ বছরের পুজোতে ভিক্ষার চল অব্যাহত
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, যোগীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকতেন, পুজোর ছুটিতে ঘরে ফিরতে পারতেন না। তাই, বাড়ির ঠাকুরের মুখ দেখাতে, মূলত তার জন্যই দুর্গা প্রতিমা সারা বছর থাকতো বাড়িতে এবং নিত্য সেবাও দেওয়া হত। সে নিয়ম এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। পাশাপাশি নবমীর দিন বেগুন পোড়া, পটল পোড়া, পান্তা ভাত রেখে দেওয়া হয়। বিজয়া দশমীর দিন দেবী দুর্গা পান্তা এবং পোড়া খেয়ে কৈলাসে পাড়ি দেন প্রতিবছর। বিজয় দশমীর দিন নিয়ম মেনে দেবীর ঘট বিসর্জন হয় প্রতিমা থাকে সারা বছর। প্রতিবছরের নিয়ম মেনে ফল গুলি এবং কুমারী পূজো অনুষ্ঠিত হয় বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে।
রাকেশ মাইতি