এই পরচুল যেমন বহু মানুষের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিচ্ছে, সেই সঙ্গে বহু মানুষের রুটি রুজিওর জোগাড়ও করছে৷ এই পরচুল বহু পুরুষ মহিলার প্রধান পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ হাওড়া উলুবেরিয়া মল্লিক পাড়া সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের। তাদের একমাত্র আয়ের উৎস হল এই পরচুল। ছয় থেকে আট দশক আগে প্রথম ভিন রাজ্যে থেকে এলাকার এক ব্যক্তি এইচুল তৈরির কাজ শিখে আসেন ৷ তার থেকেই ছড়িয়ে পড়ে এই কাজ৷ জোয়ারগড়ি তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপোল, মোল্লাপাড়া সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামে। অন্যান্য পেশা ছেড়ে পরচুল তৈরিতে যুক্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। তার অন্যতম কারণ সারা বছর কাজের জোগান সেই সঙ্গে দৈনিক মজুরিও মন্দ নয়।
advertisement
আরও পড়ুন East Medinipur News: শিক্ষা দফতরের গোডাউনে ছাগল! বইয়ের উপর বসে করছে যাচ্ছেতাই কাণ্ড
মোল্লা পাড়ার বাসিন্দা মেহেরাজুল মোল্লা, ৭-৮ জন কারিগর নিয়ে নিজে কাজ করেন তিনি জানান, এইচুল তৈরির আঠা চুল ক্লিপ নেট সূঁচ সহ নানা উপকরণ বাড়িতে বসেই অর্ডার করলে পেয়ে যান। একই রকম ভাবে তাদের হাতে তৈরি ' পরচুল ' কুরিয়ার করে ডেলিভারি করেন ভিন রাজ্যে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে৷ দিন দিন চাহিদাও বাড়ছে। এই পেশায় যারা যুক্ত হচ্ছেন তাদের দৈনিক পারিশ্রমিক ২০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরি ৷তাতে অন্যান্য পেশার থেকে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন এই নকল চুল তৈরিতে। এক থেকে দু বছরে মধ্যে এই কাজ শেখা যায়৷ বর্তমানে এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এই পেশায় যুক্ত।
রাকেশ মাইতি





