গ্রামের পরিবেশ ও প্রকৃতির কথা মনে করলেই, কিছু বিষয় চোখের সামনে ফুটে ওঠে। তা হল খোলা মাঠ, গাছ পালা, জলা জঙ্গল, পশু পাখি, খোলা আকাশ, নদী-নালা, পুকুর বা পুষ্করিনী খাল বিল ইতাদ্যি। ক্রমশ কংক্রিটে ঢেকে পড়ছে গ্রাম। গ্রামে পৌঁছেছে ডিজিটাল মাধ্যমের ছোঁয়া। আগে গ্রামে যে পরিবেশ ছিল বর্তমানে সময়ে তা অনেকখানি বদলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের বাস্তবায়ন! কাশফুলের বালিশ-লেপ তৈরি, আপনি কিনবেন নাকি?
বর্তমান সময়ে মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করছে। তার ফলেই যেমন একদিক থেকে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে, খোলা সবুজ মাঠ ঢেকে পড়ছে পাহাড় সমান বিল্ডিং এ। অন্যদিকে ধীরে ধীরে পুকুর জলাশয় নদী নালাকে গ্রাস করছে কলকারখানা ও গৃহস্থলীর নোংরা আবর্জনা। কিছু মানুষ মনে করছেন, এক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে দায়ী বাড়িতে বাড়িতে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া।পুকুর জলাশয় পরিষ্কার রাখতে। বিভিন্ন সচেতনমূলক কর্মসূচিতেও হয়নি ফল। তাই অভিনব চিন্তাভাবনা ক্লাব সংগঠনের।
আরও পড়ুন: সামনেই পরীক্ষা, মাধ্যমিকের ভূগোলে নম্বর তোলার সহজ উপায় জানুন
পুকুর মালিকদের বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হবে। এইভাবে উদ্দেশ্য সফল হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। উলুবেরিয়া চন্ডিপুর অগ্রগামী সংঘের সম্পাদক সুব্রত মাইতি এ বিষয়ে জানান যে তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত এই চিন্তাভাবনা। গত প্রায় দেড় মাস আগে ক্লাব সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই মাঠে নেমে পড়া।উলুবেড়িয়ার অন্তর্গত চন্ডিপুর, প্রসাদপুর, ঘটমপুর ও মানিকপুর মিলিয়ে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টি পুষ্করিনী রয়েছে। তবে অধিকাংশই বর্তমান সময়ে নোংরা আবর্জনা ময়। অধিকাংশই অপব্যবহারযোগ্য। উদ্যোক্তাদের বহুবার পুকুর মালিকদের সচেতন করেছে যাতে পুকুর মালিকরা পরিবেশ রক্ষার্থে সচেতনী ভূমিকা পালন।
তবে কোনও উপায়েই কোনরকম কাজই হয়নি। অবশেষে চিন্তা ভাবনা বদল করেই এই উদ্যোগ।চার গ্রামের ২০ থেকে ২৫ টি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পুষ্করিনী বেছে নেওয়া হয়। এরমধ্যে পাঁচ জন পুষ্করিনীর মালিককে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় স্বচ্ছপুষ্করিনী সম্মান। আর এই সম্মানের মাধ্যমেই চেতনা ফিরবে একাংশের মানুষের বলে দাবি ক্লাব সদস্যদের ।
রাকেশ মাইতি





