হাওড়া: এখন প্রশ্ন পত্রে বেশিরভাগ শর্ট প্রশ্ন থাকে। তাই বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ ধারণা না থাকলে উত্তর করা অসুবিধা হয়ে যায়। শুধুমাত্র কিছু প্রশ্ন মুখস্থ করে পরীক্ষার হলে যাওয়া ঠিক নয়।
* তিন ঘন্টা ১৫ মিনিট সময়কে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করে নিতে হবে। অবাঞ্ছিত কোনও ঘটনা পরীক্ষা হলে ঘটলে সেই দিকে মন না দেওয়াই ভাল। শুধুমাত্র নিজের উত্তর ও প্রশ্নের দিকেই ফোকাস করতে হবে।
* সময়কে ভাগ করে নিতে জানতে হবে। পরীক্ষার হলে অবশ্যই ঘড়ি পড়তে হবে। প্রথম এক ঘন্টা কুড়ি মিনিটের মধ্যে ৩৬ নম্বর শর্ট কোয়েশ্চেন পুরোপুরি লিখে রাখতে হবে। যেগুলো জানা আছে উত্তর লিখে ফেলতে হবে। বাকিগুলি যখন মনে পড়বে তখন শুধুমাত্র উত্তরটা বসিয়ে দিতে হবে। বড় কোয়েশ্চেনের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় রাখতে হবে। হয়তো সেটা ২০ বা ২৫ মিনিট হতে পারে সর্বোচ্চ। ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট সময়কে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষায় পুরো নম্বর তোলার উপায় দিলেন শিক্ষক, দেখুন
* ম্যাপ পয়েন্টিং-এর ক্ষেত্রে প্রায় কাছাকাছি বা সঠিক জায়গায় চিহ্নিতকরণ করতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় ওই স্থানে প্রশ্নের দাগ নম্বরটা বসিয়ে দেওয়া। এছাড়াও একটা সূচক করে মানচিত্রের নিচের দিকে যে সিম্বলগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি বক্সের মধ্যে দিয়ে দেওয়া।
* বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছবি আঁকতে হবে। তবে এখানে মনে রাখতে হবে কোনও চিত্রশিল্পীর মতো ছবি না আঁকলেও চলবে। লেখাগুলো যথাযথ ভাবে চিহ্নিত করে লিখতে হবে। অর্থাৎ বিষয়বস্তু বুঝিয়ে দিতে হবে। আবার কিছু প্রশ্ন আছে সেখানে না আঁকতে বললেও যদি প্রয়োজন মনে হয়, ডায়াগ্রাম করে দেওয়া উচিত। তবে জোর করে কোনও ছবি আঁকতে যাবেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী ডায়াগ্রাম আঁকতে হয়।
* একটা প্রশ্নের উত্তর শেষ হলে। খানিকটা ছাড় দিয়ে পরের প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। আবার প্রশ্নে যদি নম্বরের বিভাজন থাকে অর্থাৎ দুই বা ততোধিক প্রশ্ন জুড়ে একটা বড় প্রশ্ন থাকে। তাহলে যত বিভাজন থাকবে উত্তরও প্যারাগ্রাফ চেঞ্জ করে করে ততগুলো অংশেই লিখতে হবে। এতে পরীক্ষকের বুঝতে সুবিধা হয় এবং নম্বরও ভাল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক ইংরেজিতে ভয়েস চেঞ্জের ভয় কাটান, উপায় দিলেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের শিক্ষক
* উত্তরপত্রে বেশি কাটাকুটি করবে না। বিশেষ করে ছোট প্রশ্নের উত্তর ভেবেচিন্তে লিখবে দরকার পরে ফাঁকা রেখে দেবে শেষে নিশ্চিত হয়ে উত্তরে টিক দেবে বা শূন্যস্থান পূরণ করবে। একই উত্তর বারবার কেটে আবার টিক দিলে এতে পরীক্ষক নম্বর কেটে নিতে পারে।
* উত্তর পত্রে ছবি আঁকলে তা লেখার মাঝে মধ্যেই বক্স কেটে আঁকা উচিত। ঠিক যেমন সংবাদপত্রে থাকে লেখাও চলবে পাশে বক্সের মধ্যে ডায়াগ্রাম করতে হবে।
* একাধিক পাতা নিলে উত্তর লেখার জন্য যাতে নাম রেজিস্ট্রেশন নম্বর রোল নম্বর যথাযথ লেখা উচিত এবং প্রথম যে পাতাটা লেখার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তার মাথার দিকে ওয়ান প্লাস ওয়ান এইভাবে লিখে নিয়ে সেখানে ইনভিজিটরের সই করিয়ে নিতে ভুলবে না।
* ছোট প্রশ্ন কী ভাবে দেবে, কোথা থেকে দেবে এটা বোঝা সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে কোনও সাজেস্টিভ হওয়া উচিত নয়। বরং বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও ধারণা থাকতে হবে।
রাকেশ মাইতি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।