দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরেই আইসিডিএস সেন্টারটি চালু রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত গ্রামের একটি লাইব্রেরি ঘরে পঠন-পাঠন চলত। লাইব্রেরি ঘরের সামনে ৫-৬ ফুট দূরত্বে গভীর পুকুর। সেই পুকুর সব সময় আতঙ্কে রাখত শিক্ষিকা, অভিভাবক ও গ্রামের মানুষকে। কারণ গভীর পুকুরে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা। অনেক অভিভাবক বাধ্য হয়েই সারাক্ষণ তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে স্কুল চলাকালীন বসে থাকতেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সবসময় চোখে চোখে রাখতেন শিক্ষিকারা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীয়ের ছবি হাতে খুঁজেই চলেছেন স্বামী, ঘরে কেঁদে অসুস্থ ২ দুধের শিশু!
অন্যদিকে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা আকাশের নীচে রান্না অন্যতম চিন্তার কারণ। গত প্রায় এক সপ্তাহ হল গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের একটি ঘরে আপাতত স্কুল চলছে। সেখানেই শিশুদের পঠন-পাঠন চলছে তবে সমস্যা গাছতলার রান্না নিয়ে। চিন্তিত অভিভাবক থেকে শিক্ষিকা ও গ্রামবাসীরা।
এই অবস্থায় দীর্ঘ চেষ্টার পর কিছুটা সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় রসপুর পঞ্চায়েত সদস্য এবং উপপ্রধান জয়ন্ত পল্ল্যের সহযোগিতায় গ্রামের একজন সহৃদয় ব্যক্তি সাধন ধারা তিনি স্কুলের জন্য জমি দান করেছেন। তাতে খুশি সকলেই।
আরও পড়ুন: নদীর তীরে ওটা কী? কাছ থেকে দেখে চরম আতঙ্ক হাড়োয়ায়!
তবে এখনই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। জমি পাওয়া গেলেও স্কুল ঘর নির্মাণের কোনও অর্থই হাতে নেই। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত উপপ্রধান জানিয়েছেন, আশা করব স্থানীয় মানুষ এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এই ফুলের মতো শিশুদের মুখ চেয়ে। ভূমিদাতা সাধন বাবু এ বিষয়ে জানান, 'দীর্ঘদিন এই সমস্যা জর্জরিত করে রেখেছিল সকলকে। অভিভাবক থেকে শিক্ষিকা বা গ্রামের মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল এটি। তবে কোনও ভাবেই এর গতি হচ্ছিল না। স্কুলের লাগোয়া গভীর পুকুরে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারত। তার পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না। বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত ছিলাম। তবে পঞ্চায়েত সদস্য ও উপপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ হলে একটি জমি স্কুলের জন্য লিখে দেওয়া হয়। জমি মিলেছে, এবার গৃহটি নির্মাণ হলেই চিন্তামুক্ত সকলে।'
রাকেশ মাইতি