স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালে গদাইপুরের সাইফুদ্দিনের একমাত্র মেয়ে সাফিয়ার সাথে আমতা থানার পূর্ব গাজীপুর কন্টোলগোড়া এলাকার শেখ আজিজের বড়ো ছেলে সানোয়ার আলীর সাথে বিয়ে হয়৷ বিয়ের সময় সানোয়ার আলির একটি কাপড়ের দোকান ছিল।
আরও পড়ুন: তিন মাস নয়, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বিল দিতে হবে প্রতি মাসেই? বড় ইঙ্গিত অরূপ বিশ্বাসের
advertisement
মৃতার বাবা জানান, মেয়ের বিয়ের সময় নগদ ৭০ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি সোনা, খাট-আলমারি দেওয়া হয়েছিল যৌতুক হিসেবে। মৃতার ভাই শেখ নিজামুদ্দিনের অভিযোগ, বিয়ের মাস ছ'য়েক পর থেকেই অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আসার জন্য শ্বশুরবাড়ির তরফে সাফিয়াকে চাপ দেওয়া শুরু হয়৷ সাফিয়া অনেক সময় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা বলতেন। তাঁর অভিযোগ, এরমধ্যে আমরা দিদির শ্বশুরবাড়ি এলাকায় গিয়ে এলাকার মানুষদের সঙ্গে বৈঠক করি।
আরও পড়ুন: বৌদিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ভাসুরের বিরুদ্ধে, বকুলতলায় ভয়াবহতা!
কিছুদিন শান্ত থাকার পর একটি বাইক চেয়ে বসেন জামাইবাবু। বহু কষ্ট করে আমরা বাইকও জোগাড় করে দিই। এরপর হঠাৎ দোকান তুলে দিয়ে একটা টোটো কিনে তা চালানোর কাজ শুরু করে। সেই টোটো তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কিনে দেওয়া হয় বলে নিজামুদ্দিনের দাবি। নিজামুদ্দিন বলেন,\"ঘটনার দিন অর্থাৎ রবিবার সকালে দিদি তাঁদের বলেন আমার উপর আবার অত্যাচার হচ্ছে। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর দিদির শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে যে তাঁর দিদি আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনার পর গিয়ে দেখি দিদিকে একটা ফ্যানে ঝোলানো রয়েছে। এই সময় দিদির শ্বশুরবাড়ি থেকে লোকজনের কথার মধ্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। " মৃতার ভাই শেখ নিজামুদ্দিনের অভিযোগ, অতিরিক্ত পণ না দিতে পারায় দিদিকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতেই গৃহবধূর ভাই শেখ নিজামউদ্দিন জামাইবাবু সহ দিদির শ্বশুরবাড়ির পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আমতা থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমতা থানার পুলিশ।
রাকেশ মাইতি






