যদিও এ ঘটনা প্রতি বছর হয়ে থাকে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে অন্য বছর কল খারাপ বা জলের সমস্যা দেখা দিলে পঞ্চায়েতকে জানানো হলে যথাপোযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ছবি।মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে। একাধিকবার এ বিষয়ে জানানো হয়েছে পঞ্চায়েতে। কিন্তু কোনও ভাবেই মিলছে না সুরাহা। অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সবে মাত্র গরমের শুরু হতে চলেছে, তার আগেই জল সংকট।
advertisement
আরও পড়ুন: DA-তে এত তফাৎ, তালিকা তুলে ধরলেন শুভেন্দু! 'দেউলিয়া' বাংলার সরকারকে আক্রমণ
এ বিষয়ে পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট স্থানীয় মানুষ। বর্তমানে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় একপ্রকার জল পাওয়ার লড়াই। কতদিন এই সমস্যা চলবে তা স্থানীয় মানুষের অজানা। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক পঞ্চায়েত। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি হোক। তাঁদের হুঁশিয়ারি, পানীয় জলের সুব্যবস্থা না করলে এই ভোট থেকে বিরত থাকবেন। এলাকায় ভোটের প্রচারও করতে দেবেন না বলেই দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: সোমনাথ-প্রণবদের ক্লাবে সুকান্ত, বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করলেন নিজের 'সাংসদ সম্মান রত্ন'
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বানুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান তপন দাস জানিয়েছেন, এলাকার জল সমস্যা মেটানোর জন্য পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। সেই কারণেই এলাকায় জল সমস্যা রয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ত্রিপুরারী ঘোষ জানান, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের জলের সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় মানুষ আগেও জানিয়েছেন। একটি সাতশ ফুটের কল, ওই স্থানে হওয়ার জন্য চিহ্নিত হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান সেই কলটি অন্যত্র করে দেন। ফলে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ থেকে গিয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচনের আগে কোনও কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে কোনও ভাবে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ যাতে কিছুটা কমানো যায় সে বিষয়ে গুরুত্বের আশ্বাস দেন তিনি।
রাকেশ মাইতি