পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীনে ডিপিএমইউ হাওড়া অফিসের উদ্যোগে আদমি প্রকল্পের মাধ্যমে বাগনানের দুই গ্রামে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে পদ্মফুল চাষের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।বর্তমানে বাগনান-১ ব্লকের দুর্লভপুর ও রাস্তি গ্রামের ১১০ জন চাষিকে নিয়ে প্রায় একশো বিঘা জমিতে পদ্মের চাষ করা হচ্ছে। জানা গেছে, জমিতে পদ্ম চাষের ক্ষেত্রে জৈব পদ্ধতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।প্রথমে জমির মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী মাটি শোধন করে মাটিতে জৈব সার দেওয়া হয়। পাশাপাশি, প্রয়োজন মোতাবেক মাটিতে অনুখাদ্যও মেশানো হয়। পদ্মের চারা জৈব কীটনাশক দিয়ে শোধন করে জমিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে তা লাগানো হয়। আইপিএম পদ্ধতিতে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কাজ থেকে আর ফেরা হল না পরিযায়ী শ্রমিকের! ১৬ বছরের ছেলের সঙ্গে ঘটল ভয়াবহ কাণ্ড
এই পদ্ধতিতে আশার আলো দেখছেন চাষিরা। চাষিরা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে পদ্মগাছ থেকে ভালো গুণগত মানের ফুল আসছে। দুর্লভপুর এলাকার অসিত পোড়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজের জমিতে ধানচাষ করতেন। তবে এবার ধান চাষের বদলে তিনি তিন বিঘা জমিতে পদ্মের চাষ করেছেন। অসিত বাবুর কথায়, "ধানচাষের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হচ্ছে। অন্য এক চাষী চাঁদু বাগ জানান, ভোর রাত থেকেই ক্ষেতের পদ্ম কেটে তারাই নিয়ে যান কোলাঘাটের ফুলবাজারে, পাইকারি বাজারে বিক্রি করার পাশাপাশি অনেকেই আবার খুচরো বিক্রি করেন তাতে দুটো পয়সাও বেশি পান। এলাকায় ধান বা অন্যান্য চাষের থেকে অনেকটাই লাভজনক পদ্ম চাষে।
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে জমি তৈরির কাজ শুরু হয়, আষাড় মাসে ক্ষেতে পদ্মের চারা গাছ লাগানো হয়, চারা বসানোর দেড়-দু'মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। বাজার মূল্য ,বর্তমানে এক-একটি ফুল চার-পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দুর্গাপুজোর মরসুমে এক-একটি পদ্মফুলের দাম কুড়ি টাকা পর্যন্ত বা তারও বেশি ওঠে। জমিতে পদ্মচাষে মুনাফা মেলায় এই অভিনব চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এলাকার চাষিরা। আর তাতেই বাড়ছে আশার আলো।
RAKESH MAITY