ঘটনার খবর পৌঁছয় স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ওয়াইল্ড লাইফ অফ শ্যামপুর গ্রুপে। ওই গ্রুপের সদস্য জাকির হোসেন খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন একটি বন বিড়ালের শাবক। জাকির হোসেন শাবকটিকে উদ্ধার করে তাঁর নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। খবর দেয় বন দফতরে। বন দফতর কর্মীরা এসে বন্যপ্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আপাতত তাকে গড়চুমুক প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়িতে কষ্ট করে তৈরি করতে হবে না! দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নলেন গুড়ের পিঠে
এ প্রসঙ্গে পশুপ্রেমী জাকির জানান, " এই প্রাণীটি সহজে উদ্ধার হলেও চিন্তা বাড়ছে। ক্রমশ এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে, সেটাই চিন্তার কারণ।" তিনি আরও জানান, " গত কয়েকদিন আগে তাঁদের হাতেই বাগনান লাইব্রেরি মোড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় একটি বনবিড়াল শাবক। তারপরে আবারও এই ঘটনা। পর পর এই ধরনের ঘটনা। এতে বোঝা যায় যে বন্যপ্রাণীরা নিরাপদ নয়। মূলত তাদের বাসস্থানের অভাবের কারণেই লোকালয়ে চলে আসছে এরা। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে ক্রমশ জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়া। বন্যপ্রাণীরা বাসস্থান হারাচ্ছে, এ বিষয়ে বনবিভাগও যথেষ্ট চিন্তিত। জলা জঙ্গল কেটে দ্রুত জনবসতি গড়ে উঠছে তাতে বন্যপ্রাণীরা তাদের বাসস্থান হারাচ্ছে। জেলা জুড়ে বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান ছোট হয়ে আসছে বলেই এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে।"






